প্রতারণা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবলের কারাদন্ড

প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি:  যশোরে পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সাত্তারকে দেড় বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুস সাত্তার যশোর শহরের আবরপুর সুইপারপাড়ার ওয়াজেদ আলীর ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের চান্দুটিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন সরকারি এমএম কলেজে লেখাপড়া করত। ২০০৮ সালে ফারুক হোসেনের সাথে শফিুকুর রহমান মিঠু নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। মিঠুর মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার এবং আলী হোসেন নামে আরেকজনের পরিচয় হয়।

প্রথমে আসামি মিঠু পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় ফারুক হোসেনকে। আসামি মিঠু এরপর পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার ও আলী হোসেনকে নিয়ে ফারুক হোসেনের সাথে ৫ লাখ টাকায় চুক্তি করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দিতে।

২০১০ সালের ২২ অক্টোবর ফারুক হোসেনের ভগ্নিপতি রুহুল আমিনের চিকিৎসালয় যশোর সদরের চুড়ামনকাটি বাজারে আসামিদের নিয়ে যায়। সেখানে আলোচনা শেষে ফারুক হোসেনকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দিতে ৫ লাখ টাকা গ্রহন করে আসামিরা। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর ফারুক হোসেনকে আসামিরা একটি নিয়োগপত্র দেয়।

সেই নিয়োগপত্র নিয়ে ফারুক হোসেন ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ট্রেনিংয়ে যোগদান করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

১২ জানুয়ারি ফারুক হোসেন যোগদানের জন্য গেলে নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানতে পারে। আসামিরা কৌশলে তার কাছ থেকে নিয়োগ পত্রটি ফেরত নেয়। কিন্তু ফারুক হোসেনের কাছে ওই নিয়োগ পত্রের একটি ফটোকপি ছিল।

পরবর্তীতে টাকা ফেরত দিতে বল্লে আসামিরা ঘোরাতে থাকে। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ফারুক হোসেন ওই বছরের ১৩ মে যশোর আদালতে প্রতারনার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক তাকে দেড় বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২০ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। মামলার চলাকালে আসামি শফিকুর রহমান মিঠুর মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যহতি দেয়া হয়।

এমএম/

Comments