দেশের স্বার্থে সেনাবাহিনী যেকোনো সময় এগিয়ে আসবে এটা আমার বিশ্বাস: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৯

একুশ সংবাদ: বাংলাদেশে সেনাবাহিনী দেশ ও দেশের বাইরে সম্মানজন অবস্থান তৈরি করেছে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে যেকোনো সময় এগিয়ে আসবে এটা আমার বিশ্বাস।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তার নির্দেশেই ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি গড়ে তোলা হয়।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে তিনি একটি প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। তার নির্দেশনার আলোকেই সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রকিয়া চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের নামে একটি শক্তিশালী রেজিমেন্ট থাকবে এই সিদ্ধান্তে ১৯৯৯ সালে আমরা বাংলাদেশে ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট গঠনের নীতিগত অনুমোদন করি।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের ২১ এপ্রিল আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টের পতাকা উত্তোলন করি। ২০১১ সালে এই রেজিমেন্টকে মর্যাদা পূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করি। এই রেজিমেন্ট স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত একমাত্র রেজিমেন্ট।

আজ রোববার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সেনারা কালো কাপড়ে মুড়িয়ে পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে। এবং কালো কাপড় খুলে পতাকা উত্তলণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ অনুষ্ঠানের শুরুতে সুরা ফাতেহা তেলাওয়াত করা হয়। সুরা ফাতেহা শেষে ইমাম উপস্থিত সবাইকে নিয়ে মোনাজাত করেন। মোনাজাতে তিনি বাংলাদেশের মঙ্গলেন জন্য দোয়া করেন।

দোয়া শেষে প্রধানমন্ত্রী ৭ম ৮ম ৯ম ১০ম বাংলাদেশ রেজিমেন্টকে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলসহ বিভিন্ন কবিদের কবিতা পাঠ করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো অনুষ্ঠান চলছে।

উল্লেখ্য, সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়।

/আরএ/এসএস

Comments