জানাযা পড়ালেন নুসরাতের বাবা মাওলানা মুসা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৯ একুশ সংবাদ: অগ্নিদগ্ধে নিহত নুসরাত জাহান রাফীর নামাজে জানাযা ফেনীর সোনাগাজী সাবের মো. পাইলট স্কুল মাঠে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। সন্ধা পৌনে ৬টার দিকে অনুষ্ঠিত জানাযা নামাজে ইমামতি করেন নুসরাতের বাবা মাওলানা এ কে এম মুসা। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাদীর পাশে সমাহিত করা হয় নুসরাতকে। জানাযা শেষে মেয়ের লাশের খাটিয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মাওলানা মুসা। ফেনী জেলার এসপি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার জনতা জানাযায় অংশ নেয়। এর আগে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে নুসরাতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দূবৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ইন্তেকাল করে নুসরাত। বুধবার রাতে চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। নুসরাত সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসার মেয়ে। সে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলো। গত ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর অধ্যক্ষের পক্ষে-বিপক্ষে, মুক্তি-শাস্তির দাবি উঠে। অধক্ষ্যের পক্ষের লোকেরা নুসরাত ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বলে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান ওই ছাত্রী। এসময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে রাফি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ফেনী থেকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। /আরএ Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: