রাজধানীর নয়াবাজারে রাস্তায় অবৈধ কাঁচাবাজার, বিপাকে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৯

রাজধানী প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ্য কাঁচাবাজার ও ভাসমান দোকান। সিটি করপরেশনের নিয়ম নীতি ছাড়াই রাস্তা দখল করে বসছে এ সব বাজার। যার ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম অসুবিধা হয়।

প্রশাসনের নাকের ডোকায় বসা এসব দোকানের কারণে এলাকার কোমল মতি শিক্ষার্থীরা বেশি বিপাকে পড়ে। সরু রাস্তার ২ পাশে ভ্যানে ও ঝুড়ি নিয়ে বসা দোকান গুলোর কারণে পার হতে পারে না গাড়ি। কখনো ২টি গাড়ি মুখোমুখি হলে বন্ধ হয়ে যায় চলাচলের পথ, সৃষ্টি হয় তীব্র যানযট। যার প্রভাব পড়ে মুল সড়কেও।

সিটি করপরেশনের মেয়র সাইদ খোকনের নিষেধ অমন্য করে রাস্তা দখল করে প্রতিদিন বসছে এসব দোকান। যার সাথে জড়িত সরকারের দলীয় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও পুলিশ প্রশাসন বলে অভিযোগ করেছে ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজেমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুরাণ ঢাকার নয়াবাজারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩২নং ওয়ার্ডের হাবিব উল্লাহ সড়কে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য কাচাবাজার। মাছ, মুরগীর দোকান থেকে শুরু করে সব ধরনের দোকান বসে ওই রাস্তায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন দোকনদার জানায়, তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চাঁদা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন সকাল ৬ থেকে ১০/১১টা পর্যন্ত চলে দোকানগুলো।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মাছ মুরগীর রক্ত ও সবজী- পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায় প্রতিনিয়িত। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, ব্যাহত হয় পথচারীদের চলাচল। ঐতিহ্যবাহী হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ওই অবৈধ কাঁচাবাজার থাকায় নষ্ট হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টারের সৌন্দর্য। মিল্লাত স্কুলের অপর পাশের গলিতেই বাজারটি বসার কারণে ব্যাপকভাবে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ।

এলাকার হাজি রশিদ লেনে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৭০ টি দোকান বসে। যা নিয়ন্ত্রণ করে এলাকার আওমীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলাম। এমন অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। প্রতি দোকান থেকে তোলা হয় প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আপন নামে একজন লাইন ম্যান ওই টাকা তোলার কাজে নিয়োজিত।

এসম্পর্কে ৩২ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলাম মুটোফোনে জানান, ওই রাস্তায় দোকান বসে এটা সত্য। তবে কে বা কারা করে সেটা তার অজানা। তবে তিনি থানার পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করতে বলেন।

বংশাল থানার ডিউটি অফিসার ফজলুর হক জানান, এটা ওসি স্যার জানে, আপনি অফিসে এসে স্যারের সাথে কথা বলেন। বংশাল থানার ওসি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে যেহেতু আপনি আমাকে জানিয়েছেন অবশ্যই দোকান গুলো তুলে দেওয়ার ব্যাবস্থা নিবো।

/আরএ

Comments