পর্ণ আইনে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৯

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় পর্ণো আইনে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইজাহার আলি মন্ডরের নাতনি রাবেয়া আক্তার। আর এর জের ধরে অভিযোগকারির পরিবারকে মামলা তুলে না নিলে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে তার ভাসুরের ছেলে ইউনুস আলি।

শুধুু তা ই নয়, ইউনুসের হুমকিতে মুক্তিযোদ্ধার দরিদ্র ছেলে ভ্যানচালক রবিউল ইসলামও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মাসাধিককাল। রাবেয়া আক্তার তার অভিযোগে বলেন, গতবছর ১১ মার্চ একই গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে ইনছান কবিরের সাথে তার বিয়ের পর ইনছান কবীর চাকরির সুবাদে সিঙ্গাপুর চলে যায়।

বাবার অসচ্ছল পরিবারের সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চাপ দিতে থাকে।একপর্যায়ে তার স্বামীও বাবা-মায়ের সুর ধরে তাকে বাবার বাড়ি চলে যেতে মোবাইলফোনে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এই সুযোগে তার ভাসুর আব্দুর রশিদের ছেলে ইউনুছ আলী রাবেয়া আক্তারকে মারধর করতে শুরু করে।

তার স্বামীও পরিবারের পক্ষ নিলে ২২ মার্চ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে দরিদ্র বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে ইউনুছ আলী ২৪ এপ্রিল কোন মহিলার নগ্নবক্ষের ছবি রাবেয়ার মুখের সাথে মিল রেখে ছাপিয়ে এলাকায় বিলি করে।বিষয়টি রাবেয়া আক্তারের পরিবার ইউনুছ আলীর অভিভাবকদের জানিয়ে কোন প্রতিকারতো পায়নি, বরঞ্চ রাবেয়া আক্তারকে তাদের আরও অসম্মানিত করে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়।

অসহ্য়া পরিবারের পক্ষ থেকে রাবেয়া আক্তার নিজেই বাদি হয়ে ৯মে শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলায় তার ভাসুরের ছেলে ইউনুছ আলীকে প্রধান আসামি করা হয়।

রাবেয়া আক্তারের বাবা ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশ লোক দেখানোভাবে গ্রামে গেলেও কোন অজানা করণে আসামিকে গ্রেফতার করছে না।

তিনি জানান, লজ্জা ও ক্ষোভে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল, তাকে সান্তনা দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে আসামী ও তার লোকজন যেকোন সময় মেয়েটির সম্ভ্রম ও জীবনহানি করতে পারে বলে পরিবারের সদস্যরা ভীত-সন্ত্রস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তিনিও ভ্যানচালানো বাদ দিয়ে জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

এব্যাপারে শৈলকুপা থানার বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আয়ূবুর রহমানের সাথে অলাপ করলে তিনি রাতারাতিই আসামীকে আটক করে তার কর্তব্য পালন করবেন বলে জানালেও তা করে যান নি। শৈলকুপা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনিও আসামি আটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আশ্বাস দেন।

এমএম/

Comments