তাহেরির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯

ধর্মীয় অনুভূতিতে ও মূল্যবোধের ওপর আঘাতের অভিযোগে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিতর্কিত বক্তা মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।

রোববার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচার আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল। দুপুর ২ টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারহানা আক্তার।

এ মামলায় বাদী এর আগে মো. ইব্রাহিম খলিল যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করা বাংলাদেশি নাগরিক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসলাম ধর্মের পথ প্রদর্শক হযরত মুহাম্মদ সা এর প্রেরিত আদর্শ বিধি নিষেধ অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম পরিচালিত হলেও ধর্মীয় কোনো গ্রন্থ আসামির ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ, গান সমর্থন করে না। ইসলাম ধর্মের সে রীতিনীতি অনুযায়ী তার কর্মকাণ্ড মুনাফিকের শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এক ব্যক্তির উক্তি দিয়ে তার বিড়ি খাওয়ার দোয়াটি ইসলামের কোথাও নেই। তার এ বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আসেন আসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’ যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। ইসলাম ধর্মে এ রকম শব্দের উল্লেখ নেই। কিছু কিছু ইউটিবারকে তিনি ধান্দাবাজ বলে উল্লেখ করেন। আসামির এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদ’আত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের অপপ্রচারকারী। ইউটিউব, ফেইসবুকসহ তার প্রচারিত ভিডিওসমূহে দেখা যায় তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ, গান করেন। আসামি ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ, গান করেন।’

মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, আসামির এসব কর্মকাণ্ড ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার করে ধর্মীয় অনুভূতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টি করে। আসামির এমন ওয়াজ মাহফিলের নামে ভণ্ডামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অনলাইনে প্রচার করে ইসলাম ধর্মের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং ধর্মীয় মানুষকে সঠিক শিক্ষা প্রদান না করে ভুল বুঝিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম রয়েছে।

এ বিষয়ে বাদী গত ৩১ আগস্ট কোতয়ালী থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এরপর বাদী আদালতে মামলার আবেদন করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী। কয়েকদিন ধরে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কিছু বক্তব্য নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীল ভঙ্গিও করেন তিনি। সেই সঙ্গে নাচ-গানসহ আরও বিনোদনমূলক কথাও বলেন এই বক্তা। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর এ জন্যই নজরদারিতে রয়েছেন তিনি।

Comments