যশোর বাগডাঙ্গায় নৈরাজ্য চালাচ্ছে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৯ বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গায় ফের মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রকাশ্যে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করছে। দীর্ঘদিন মাদক সিন্ডিকেটটি সক্রিয় হলেও গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযোগ উঠেছে, সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের কতিপয় অসাধু সদস্য সাদা পোশাকে গিয়ে সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিচ্ছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মাদকের জন্য বিখ্যাত হিসেবে পরিচিতি বাগডাঙ্গা। পুলিশ প্রশাসন বাগডাঙ্গা গ্রামের মাদক ব্যবসা সম্পর্কে অবগত। ৩/৪ মাস আগে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের নিয়মিত অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়ে এখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বাগডাঙ্গার মাদক ব্যবসায়ীরা স্বমূর্তিতে আর্বিভূত হয়েছে। বর্তমানে সিন্ডিকেট গঠন করে মাদক ব্যবসা করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর এখানকার বাবু বাজার ও বাদামতলা বাজারে মাদকের হাট বসছে। অনেকেই নিজ বাড়িতে বসে মাদকের ব্যবসা করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করছে বাগডাঙ্গার কুখ্যাত গোড়ে সিরাজ, নজরুল ইসলাম, পলাশ, ইকবাল, সবুজ হোসেন, রেজাউল, ,শরিফুল, শাহিনুর, মিজান, পিচ্ছি মাহাবুর, আজিম, মনিরুল ওরফে মনি, তার ভাই হাকিম, ছোট দৌগাছিয়ার গজো মশিয়ার তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, আড়–য়া দৌগাছিয়ার মফিজুর। এই সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে মাদক সরবরাহ করছে নজরুল ইসলামের ভাগ্নে চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের মঙ্গল কসাইয়ের ছেলে ঘ্যানা। এছাড়া মাদক সখ্যতা গড়ে অন্য এলাকার মাদক কারবারীরা বাগডাঙ্গায় এসে ব্যবসা জোরদার করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত দিনে গজো মশিয়ার ও গড়ে সিরাজ পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হয়েছে। কিন্তগু জামিনে বের হয়ে এসে মাদক ব্যবসায় ফিরে যায়। সূত্র জানায়, বাদামতলা বাজারের পাশাপশি নিজ বাড়িতে ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করছে গজো মশিয়ার ও তার স্ত্রী। বর্তমানে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে গোড়ে সিরাজ, গজো মশিয়ার ও নজরুল ইসলাম। তারা স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য কয়েকজন স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের পাশাপাশি প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেছেন। ফলে মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উল্লিখিতরা ছাড়াও বাগডাঙ্গার ১৫ থেকে ১৬ জন কিশোর নতুন করে মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা এলাকায় খুচরা ভাবে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সেবন করছে। সূত্র জানায়, সিন্ডিকেটের প্রধানদের চৌগাছার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক। তাদের মাধ্যমেই এখানে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে। বিগতদিনে বাগডাঙ্গার মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিপাকে পড়েছিলো চুড়ামনকাটি এলাকার একজন সাংবাদিক। মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছিলো বলে ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন। বর্তমানে বাগডাঙ্গায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা। যে কারণে এখানকার অভিভাবকরা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মুন্সি আনিসুর রহমান জানান, বাগডাঙ্গার মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। চলতি সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী দুটি মাদক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রিপনকে আটক করেছি। এছাড়া তার ভাই আরেক মাদক ব্যবসায়ী বিল্লালকে ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ আদকের পর আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের আটকে জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফাঁড়ির এ এস আই উজ্জল কবির ও কনস্টেবল রবিউল গোপনে সাদা পোশাকে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তাদের বিষয়টি আমার জানা নেই। এখানে ইনচার্জ হিসেবে নতুন যোগদান করেছি এখন থেকে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: