ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ৯০০ চামড়া মাটিচাপা (ভিডিও) নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৯ ন্যায্য মূল্য না পেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে কোরবানির পশুর ৯০০টি চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসার পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন গ্রাম থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়। ওই চামড়া বিক্রির জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দুদিন চেষ্টা করে। ন্যায্য দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে চামড়াগুলো মাটি চাপা দেয় তারা। ঈদের দিন সংগ্রহ করা চামড়াগুলো সোমবার বিকালে নিলামে বিক্রির আয়োজন করা হয়। তবে কোনো ব্যবসায়ী তা কিনতে আসেননি। পরে চামড়াগুলো একটি জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয়। মঙ্গলবারও কোনো ব্যবসায়ী না আসায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। একজন ব্যবসায়ী প্রতিটি গরুর চামড়া ১২০ টাকা দরে নিতে চাইলেও পরে আর আসেননি। পরবর্তী সময়ে চামড়ার দুর্গন্ধ মাদ্রাসা ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সবার মতামত নিয়ে মঙ্গলবার মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের পুকুর পাড়ে ৮০০টি গরুর, ৯৫টি ছাগলের ও ভেড়ার চামড়া পুঁতে ফেলা হয়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করি। এবার ৯০০ পশুর চামড়া আসে। এর মধ্যে গরুর চামড়া রয়েছে ৮০০টি ও ছাগল ও ভেড়ার ১০০টি। বহু চেষ্টা করেও চামড়াগুলো বেঁচতে পারিনি। ন্যায্য মূল্য কেউ বলেনি। বাধ্য হয়ে চামড়াগুলো মাটি চাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অধ্যক্ষের দাবি চামড়াগুলো সংগ্রহ ও চামড়ায় লবণ ব্যবহারে জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। লবনের দামও কেউ বলেনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া বলেন, চামড়ার বাজারে বিপর্যয়ে মধ্যে ন্যায্য দাম না পেয়ে এগুলো মাটি চাপা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: