রামপালে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৯

অমিত পাল,রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :  আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রামপালে পশুর হাটগুলো এখন জমজমাট। বিভিন্ন এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বসলেও কোরবানীকে ঘিরে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে এই হাটগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে কেনাবেচা এখনও পুরোপুরি জমেনি বলে জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা।

দাম কমে কিনতে শেষ সময়ের অপেক্ষায় আছেন অনেকেই। অন্যদিকে এসব হাটে নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করতে প্রশাসন ও উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিস যাবতীয় সহায়তা দিচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, রামপালের বেশ কয়েকটি স্থানে হাট বসে। তার মধ্যে গিলাতলা, ভাগা বাজার, চাকশ্রী এবং ফয়লাহাট উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে ফয়লাহাট গরুর হাটে প্রতি বছর ব্যাপক সংখ্যাক গবাদিপশু কেনাবেচা হয়। সপ্তাহের প্রতি রোববার এবং বৃস্পতিবার হাট বসলেও ঈদকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে কেনাবেচা শুরু হয়।

গত বৃহস্পতিবার এই গরুর হাটে ছোট বড় মাঝারী সহ প্রায় হাজারখানেক গরু উঠেছিলো। এই হাটে ওঠা সবোর্চ্চ গরুর দাম নির্ধারন করা হয় ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এবার ভারতীয় গরুর আমদানি না থাকায় স্থানীয় খামারীরা নিজস্বভাবে গরু মোটাতাজাকরন করেছে। তাই গরুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশী বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।

তাদের কথায়, এবার পশু খাদ্যের দাম বেশী এবং পরিচর্যায় খরচ বেশী হবার কারনে দাম বেশী বেড়েছে। এসব গরু মোটাতাজাকরনে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো কৃত্রিম স্টেরয়েড ব্যাবহার করা হয়নি বলে দাবী করছেন তারা।

আজ রোববার শেষ হাটে ব্যাপক কেনাবেচা জমবে বলে জানিয়েছেন ফয়লাহাট কতৃপক্ষ। তবে গরুর কেনাবেচা না জমলেও ছাগল ও ভেড়ার কেনাবেচা বেড়েছে। শেষ সময়ে ব্যাবসায়ীরা গবাদিপশুর দাম কমাতে পারে, ক্রেতারা তার অপেক্ষায় আছেন। উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, হাটে প্রানীসম্পদ অফিসের ভেটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।

রামপাল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ তুহিন হাওলাদার জানান,গরুর হাটে যাতে ক্রেতা বিক্রেতারা নিরাপদে কেনাবেচা করতে পারে তার জন্য হাটের দিন সেখানে পুলিশের একটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপদে টাকা পয়সা লেনদেন করতে কারো কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। ঈদের মাত্র ১দিন বাকী থাকায় আজ রোববার শেষ গরুর হাটে ব্যাপক বেনাবেচা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হাট কতৃপক্ষ।

Comments