জমে উঠেছে খুলনার কোরবানির পশুরহাট নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৯ শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনাঃ দর-কষাকষি আর চুলচেরা যাচাই-বাছাইয়ের দিন শেষ। মাত্র একদিন পরই ত্যাগের মহিমায় উদ্যাপন হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। এরই মধ্যে ছুটি শুরু হয়ে গেছে। আর ছুটির প্রথম দিন শুক্রবারই জমজমাট হয়ে উঠেছে খুলনার অধিকাংশ পশুর হাট। ইট-পাথরের শহরে জায়গার অভাবে যারা এতদিন সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। তারাই এখন হাটের শেষ মুহূর্তের ক্রেতা। মূলত শেষের এই দু’তিন দিনের বিকিকিনির দিকেই তাকিয়ে থাকেন খুলনার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিক্রেতারাও। সরেজমিনে খুলনায় কয়েকটি পশুর হাটে দেখা যায়, মাঝারি আকারের দেশি গরুই ক্রেতার চাহিদার শীর্ষে। স্থানীয় হাটগুলোতে কিছু সংখ্যক ভারতীয় গরুর উপস্থিতি থাকায় দেশি গরুর দাম তুলনামূলক কম। সর্বশেষ ডুমুরিয়ায় সাপ্তাহিক খর্ণিয়া পশুর হাটে বড় আকারের ৪ মণ ওজনের দেশি গরু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকায়। গত হাটে এই আকারের গরুর দাম ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর মাঝারি আকারের আড়াই মণ ওজনের দেশি গরু বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। গত হাটে যা ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে অনেক ক্রেতাই এবার হাটে আসার বদলে খামারীদের বাড়িতে গিয়ে দেখে-শুনে গরু কিনছেন। আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বাজারে প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন বিক্রেতারা। জানা যায়, খুলনায় সবচেয়ে বড় জোড়াগেট পশুর হাটে গত বছর শেষ দিনে গরুর দাম কমে যাওয়ায় এবার অনেকেই শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে শুক্রবার সকালে দাম ধরে রাখলেও দুপুরের পর থেকে বিক্রেতারা নিজের পশুটি অল্প লাভেই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর কোরবানির পশু কেনার শেষ সময় বলে ক্রেতাও সেই সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। নড়াইল জেলার কালিয়া থেকে ৬টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রেতা আজিজ শেখ। তার সবচেয়ে বড় গরুটির দাম ৯০ হাজার টাকা। আর সবচেয়ে ছোট গরুটির দাম ৪৫ হাজার টাকা। মাঝারি আকারের আড়াই থেকে তিন মণ ওজনের দেশি গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সকাল থেকে দু’টি মাঝারি গরু বিক্রি করেছেন। হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট এবং মাঝারি আকারের গরুই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী। খুলনার তেরখাদা এলাকার গরু বিক্রেতা ইকবাল হোসেন জানান, মোটামুটি বড় আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সব আকারের গরুর দামই ৬-৭ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। হাট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাষ বলেন, হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। হাটে ক্রেতা রয়েছে অনেক কিন্তু সেই তুলনায় বেচাকেনা শুরু হয়নি। নগরীতে অধিকাংশ বাসিন্দার গরু রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই তারা ঈদের আগ মুহূর্তে এসে কোরবানির পশু কিনবেন। এবার জোড়াগেট পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পুরো হাটটি সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত। ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আনিচুর রহমান জানান, এবার কোরবানির পশুর হাটে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথমত সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী। দ্বিতীয়ত হাটে পুলিশ ক্যাম্প ও তৃতীয়ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, বড় হাটগুলোর পাশে পুলিশের টহল থাকবে। অজ্ঞান ও মলম পার্টি দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: