সিটি করপোরেশন ‘মশার ঘুমের ওষুধ’ এনেছে : রিজভী

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০১৯

ডেঙ্গু নিধনে সিটি করপোরেশন ‘মশার ঘুমের ওষুধ’ এনেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি লিফলেট বিতরণকালে তিনি এই কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সকাল ১১টায় বেইলি রোডের বিপণি বিতান ও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ের ওপর দলীয় লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন. “প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, ডেঙ্গুর জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আপনার সিটি করপোরেশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সিটি করপোরেশন তো এখানে অনেক ধরনের কথা বলেছে, তামাশামূলক কথাবার্তা বলেছে। কারণ তাদের ফাইট করার জন্য মশা মারার যে ওষুধগুলো দরকার সেটা ছিলো না।”

তিনি বলেন, “তারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে যে ওষুধ নিয়ে এসেছে সেটা হচ্ছে মশার ঘুমের ওষুধ, মশা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকবে শান্তির মধ্যে- সেই ওষুধ। প্রকৃতপক্ষে মশা নির্মূল হবে, নিধন হবে সেই ওষুধ নেয়নি। অত্যন্ত স্পষ্টভাবে এটা প্রমাণিত হয়েছে।”

রিজভী বলেন, “আজকে দুর্যোগ-দুর্বিপাক, মহামারিতে একেবারে উদাসীন এই সরকার। গণবিরোধী সরকার এই ধরনের চরিত্র ধারণ করতে পারে। সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়নি বরং এখনো মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলা করছে। জনগণকে আমরা সব দিক থেকে সচেতন করার চেষ্টা করছি, আমরা মানুষ বলছি যে আপনারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আগেই আপনারা সতর্ক থাকুন এবং এ জন্য কী কী করণীয় সেটা ডাক্তাররা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন সেটাই আমরা এই লিফলেটের মধ্যে বলেছি।”

ডেঙ্গু নিয়ে গণমাধ্যম আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সরকার প্রধানের এ রকম বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যারা ব্যর্থ হয় তাদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়, যারা জনকল্যাণের মধ্যে থাকে না তাদের অসত্যের ওপর, মিথ্যার ওপর, বিভ্রান্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ নিজেরাই হচ্ছে ভোটারবিহীন একটি সরকার। এই কারণে তারা মিডিয়ার বিরুদ্ধে বলছে। গণমাধ্যমই একমাত্র প্রতিচ্ছবি, একমাত্র আয়না যেখানে সমাজের নানা অসংগতি ফুটে উঠবে।”

রিজভী বলেন, “আমরা সব সময় বলি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। আপনারা দেখছেন আমরা বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে যেতে দেয় না। ওরা মনে করে যে, তাদের এটাতে ক্ষতি হয়ে থাকবে, বিরোধী দল আসলে তাদের ক্রেডিভেলিটি থাকবে না। এই ভয় থেকেই তারা এই কাজ করে।”

এ সময় জাসাসের বাবুল আহমেদ, আহসানউল্লাহ চৌধুরী, মীর সানাউল হক, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, জাহিদুল আলম হিটু, জাকির হোসেন রোকন, শিবা সানু, রমনা বিএনপির নাদিম চৌধুরী প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments