’মন্দিরসহ সংখ্যালঘুদের সকল প্রতিষ্ঠানকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে’

প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৯

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে
চরমোনাই বরিশালের গৌরনদীর কালি মন্দিরে দুবৃর্ত্তদের হামলায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ
করে বলেছেন, হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে
হবে।

তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন মন্দিরে হামলা করতে গিয়ে হিন্দু যুবক গ্রেফতারের সংবাদ দেশবাসি দেখেছে। কিন্তু তাদেরকে জনতার মুখোমুখি করা হয়নি, কেন তারা মন্দিরে হামলা করেছে, এর পিছনে কারা কল-কবজা নাড়ছে।  গতকাল গৌরনদীর কালি মন্দিরে হামলা করা হয়েছে, এই হামলা কারা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে ঘটনার আসল রহস্য বুঝা যাবে।

আজ বেলা ২টায় পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের মন্দিরগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। ওই মহলটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মন্দিরে হামলা করে তার দায়ভার মুসলমান তথা ইসলামপন্থিদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, আমাদের শঙ্কা হচ্ছে ওই মহলটি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা করে এর দায়ভার এদেশের মুসলমানদের উপর চাপাতে পারে এবং এদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে বিদেশী সৈন্য আমদানির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে।

তিনি দেশের সকল মন্দিরসহ সংখ্যালঘুদের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য সরকারকে নির্দেশ জারি করতে হবে। কেননা আমাদের শঙ্কা হচ্ছে যে, তারা নিজেরাই হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তার দায় মুসলমানদের উপর চাপাতে পারে।

নায়েবে আমির বলেন, কোন বিভ্রান্ত মুসলমানও যদি কোন হামলার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবির, সৈয়দ ওমর ফারুক, মাওলানা আব্দুর রহমান আজাদ প্রমুখ।

আরএম/

Comments