ডেঙ্গু ছড়িয়েছে ৫০ জেলায়

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৯

রাজধানীর পর দেশের বিভিন্ন জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সরকারি হিসাবে, ঢাকার বাইরে ৬১১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের ৫০ জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে সোমবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৬৩৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে জুলাই মাসের ২৯ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও এক ও ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রিতা নামে এক নারী এবং সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুয়েল মাহমুদ নয়ন (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। ঢামেকে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মারা গেল সাতজন।

জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত ১৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫১ জন। ওই বছর মৃত্যু ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০১ সালে আক্রান্ত ২ হাজার ৪৩০; মৃত্যু ৪৪ জন, ২০০২ সালে ৬ হাজার ২৩২ জন; মৃত্যু ৫৮, ২০০৩ সালে ৪৮৬ জন; মৃত্যু ১০, ২০০৪ সালে ৩ হাজার ৪৩৪; মৃত্যু ১৩, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১৪৮ জন; মৃত্যু ২৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৬ জন হলেও প্রকৃতপক্ষে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলেও জানান তিনি। ডা. সানিয়া তহমিনা জানান, ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঢাকার বাইরে ৬১১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট (ডিভাইস) ঢাকার বাইরে পাঠানো হচ্ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। বেশিরভাগ হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। ফ্লোরে রেখেই রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঈদ মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটবে নগরবাসী। তখন সারা দেশে ব্যাপক মাত্রায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তদের অনেকে ঢাকা থেকে রোগ নিয়ে গেছে। তবে রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্তের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গত মার্চ মাসে সিটি করপোরেশনকে ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। চলতি বছরের মার্চে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এবার ডেঙ্গু আউটব্রেক হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, জানুয়ারিতে পুরো ঢাকায় জরিপ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই সময় এডিস মশার লার্ভা এবং কোথাও কোথাও অ্যাডাল্ট এডিস মশা দেখা গিয়েছিল। সেজন্য মার্চে সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছিল। ফেব্রয়ারি থেকেই ডেঙ্গু বিষয়ে চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল বলে তিনি জানান।

এদিকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গু সেলের শয্যাসংখ্যা ৪০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূূয়া ডেঙ্গু সেল পরিদর্শনে যান। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে করণীয় সবকিছুই করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বর্তমানে বিএসএমএমইউর মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু মেডিসিন ওয়ার্ড, ডেঙ্গু চিকিৎসা সেল, কেবিন এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মোট ৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৬০টি নতুন বেড কেনা হয়েছে। প্রয়োজনে শয্যাসংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও এবার এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে। জ্বর হলে কাছের হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। জ্বরে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে বলেছেন। এবারের ডেঙ্গুতে রক্তের ঘনত্ব কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আক্রান্তের রক্তচাপ কমে যাচ্ছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি জানিয়েছেন আমাদের ব্যুরোপ্রধান, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চারজন ভর্তি হলেও দুজন চিকিৎসা নিয়ে এরই মধ্যে বাড়ি ফিরেছে।

পাবনা : গত সাত দিনে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৯ রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১২ জন। সব মিলিয়ে সাত দিনে ৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া গেছে।

বাগেরহাট : সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চার রোগী ভর্তি হয়েছে। বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. জি কে সামসুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চারজন রোগী ভর্তি হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সাত রোগী। গত মঙ্গল থেকে রবিবার পর্যন্ত এই সাতজন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। সাতজনের মধ্যে ছয়জন নিশ্চিতভাবেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত।

সাতক্ষীরা : জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। এখন পর্যন্ত জেলায় নয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ছয়জন সদর হাসপাতালে ও একজন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।

গাজীপুর : শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত ৩০ জুন থেকে এ পর্যন্ত ৭৩ জন রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

জামালপুর : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গত ২২-২৮ জুলাই পর্যন্ত ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ২২ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত মোট ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

ঝিনাইদ : ঝিনাইদহে ২২ দিনে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১০ জন। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে তিনজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বাকিরা অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

লালমনিরহাট : ডেঙ্গু আতঙ্ক এখন রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে আনন্দ রায় নামে এক ডেঙ্গু রোগী লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ময়মনসিংহ : দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু রোগী। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার বিকাল পর্যন্ত ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। এসব রোগী ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহে আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়।

মৌলভীবাজার : জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১০ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন রোগী এখন মৌলভীবাজার সদর ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এসেছে।
নীলফামারী : পরিতোষ চন্দ্র (২৮) ও আবদুর রহিম (২৪) নামে দুই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

চাঁদপুর : প্রতিদিনই সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। যার বেশিরভাগই ঢাকা বা চাঁদপুরের বাইরে থেকে আসছে। সূত্র আরও জানায়, মোট ৩০ জন রোগী ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে
ফরিদপুর : চারদিনের জ্বর কেড়ে নিয়েছে তিন সন্তানের বাবাকে। ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে রোববার ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি এসে সেলিম বিশ্বাস (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুর : দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১১ রোগী। এর মধ্যে পাঁচ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে। বাকি সাতজন এখনও চিকিৎসাধীন।

হবিগঞ্জ : কলেজছাত্রসহ নয়জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিগার সুলতানা (৩৫) নামে এক স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে পিরোজপুরের ভান্ডরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মুন্সীগঞ্জ : সাতজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত জেনারেল হাসপাতালে চারজন রোগী চিকিৎসাধীন। বাকিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ : গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ জন। জেলার ১৩টি উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে।
মাদারীপুর : গত ৫ জুলাই থেকে এই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। যার মধ্যে গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছে ১০ জন। এর মধ্যে মাদারীপুরের নিজ এলাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে দুজন বাসিন্দা।

নারায়ণগঞ্জ : এই জেলায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবশেষ প্রাণ গেছে শান্ত মিয়া (২৫) নামে যুবকের। শহরের সরকারি হাসপাতাগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

টাঙ্গাইল : গত চার দিনে ২০ জন ডেঙ্গু রোগী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মেেধ্য ১৬ জন পুরুষ ও চারজন নারী।
রংপুর : রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ জনে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সুনামগঞ্জ : তিনজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তিনজনই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জ এসেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

Comments