১৮ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ : ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি ৬৮৩ জন

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০১৯

বিগত ১৮ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে একদিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী। এমন তথ্যই জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এসব রোগীর সামাল দিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের হালানাগাদ তথ্যেও মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার চিত্র পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮ থেকে শনিবার সকাল ৮ পর্যন্ত) সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮৩ জন।

অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, বছরের শুরুর দিন থেকে শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১০ হাজার ৫২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে থেকে ৭ হাজার ৮৪৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

এই সংখ্যা গত এক মাসের (২৬ জুন-২৭ জুলাই) মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবচেয়ে বেশি ৬৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল গত ২৪ জুলাই।

বিশেষজ্ঞদের অনেকের ধারণা, আক্রান্ত সবার তথ্য সরকারের নজরদারিতে না আসায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

এদিকে সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধনের ঔষধ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আইসিডিডিআরবির গবেষণায় যে ওষুধ অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলো দিয়েই চলছে ঢাকার দুই সিটির মশক নিধন কার্যক্রম। আর এ কারণেই এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা কমছে না- এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, সিটি কর্পোরেশনের এসব কার্যক্রম স্রেফ লোক দেখানো।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান মশক নিধন কার্যক্রম এডিসের প্রজনন রোধে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখনই এডিস মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে রোগের ভয়াবহতার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বলেও শঙ্কা তাদের।

এদিকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের (স্বাস্থ্য অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর) পক্ষ থেকে মশা মারার জন্য প্রস্তাবিত কোনো ওষুধের নাম আসেনি।

Comments