ঝিনাইদহে ১০ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান, আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ ডাক্তারের

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০১৯

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে। সন্ধান মিলেছে অনেক ডেঙ্গু রোগীর। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ১০ জন। এর মধ্যে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একজন এখনো ভর্তি আছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্তরা হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মাহবুব (১৮), হরিণাকুন্ডু শহরের আব্দুল লতিফের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২), ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর পাড়ার তোয়াজ উদ্দীনের ছেলে সাইফুল (৫২), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের মিঠুনের মেয়ে অন্তরা খাতুন (১১), শৈলকুপার চাঁদপুর গ্রামের আবু বকরের ছেলে নাঈম মন্ডল (১৮), সদর উপজেলার কংশি গ্রামের সজিবের ছেলে ও ফিলিপস কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার আশিকুর রহমান হিজল (২৭), পবহাটী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আলামিন (১৯), খাজুরা গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুমানা খাতুন (২৫), হামদহ এলাকার মাঝিপাড়ার বিশ্বনাথ দাশের স্ত্রী অমিতা রানী দাস (৩৫) ও কলাবাগানপাড়ার রাজু মিয়ার ছেলে শিবলী (৩১)।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের অফিস থেকে ডেঙ্গু রোগীর এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু আক্রান্তদের আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান অফিসার আব্দুল কাদের জানান, চলতি মাসের ৬ জুলাই প্রথম মাহবুব নামে একজনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবানু ধরা পড়ে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে ৯ জুলাই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ৯ জুলাই হাফিজুর রহমান নামে একজন জ্বর নিয়ে ভর্তি হলে তার শরীরে ডেঙ্গুর জীবানু সনাক্ত হয়। ৫ দিন পর তিনি ১৪ জুলাই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এরপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।

আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আলামিন, রুমানা ও শিবলী নামে ৩ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগমের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব আলী জানান, আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। ডেঙ্গু রোগীদের চিতিৎসার জন্য ইতিমধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। লিফলেট বিতরণ করে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগীরা যাতে মশাড়ী এবং নার্সদের সর্বোচ্চ সেবা পায় সে ব্যাবস্থা গ্রহন করেছি।

এদিকে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ নিজেই ড্রেন, নালা নর্দমা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে নেমেছেন। গত কয়েক দিন তিনি ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ড্রেন পরিস্কারে নির্দেশনা দিচ্ছেন। স্থানীয় পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন।

Comments