এবার চুয়াডাঙ্গায় পাওয়া গেল মাদ্রাসাছাত্রের ‘মাথাকাটা’ দেহ

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯

এবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় কয়রাডাঙ্গা গ্রামে একটি আমবাগান থেকে আবির হুসাইন (১১) নামে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোনার নিউটাউনে এক শিশুর গলাকাটা মস্তক নিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ হয়েছিল চুয়াডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নুরানী বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হুসাইন।

আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে তার ‘মাথাকাটা’ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আবিরের মাথা খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

নিহত আবির ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে। গত মাসে তাকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়।

মাদ্রাসার মুহতামিম মো. আবু হানেফ জানান, গতকাল এশার নামাজের পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না আবিরকে। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসার সবাই মিলে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ সকাল সাতটার দিকে খাদিমপুর মোড়ের ইটভাটার পার্শ্ববর্তী আমবাগানে মস্তকবিহীন একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে খবর দেয় গ্রামবাসী।

খবর পেয়ে আমবাগানে পৌঁছে পড়ে থাকা লাশটি নিখোঁজ আবিরের বলে নিশ্চিত করেন মাদ্রাসার মুহতামিম। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী আসাদুজ্জামান দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে জানান, মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি সত্য। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসাছাত্রটি গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। তার বিচ্ছিন্ন মাথাটি খোঁজা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও আলমডাঙ্গা সার্কেল) মোহা. কলিমুল্লাহ ও আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী আসাদুজ্জামান।

পুলিশ সুপার মাহবুবুর বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার নেপথ্যে কী আছে সেটি অনুসন্ধানে আমাদের বেশ কয়েকটি ইউনিট ইতিমধ্যে কাজ শুরু করছে। খুব শিগগিরই আমরা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে পারবো।’

Comments