৩০ জুলাই ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে গণমিছিলে অংশগ্রহণের আহ্বান নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ৩০ জুলাই ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে গণমিছিল ও স্বারকলিপি কর্মসূচি সফল করে ভারতে নির্যাতিত মজলুম মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের উপর জুলুম, নির্যাতন ও হত্যা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, মুসলমানরা শান্তিকামী। অশান্তি সৃষ্টি করা মুসলমানদের কাজ নয়, ইসলামও এটা সমর্থণ করে না। কাজেই দেশে দেশে যত অশান্তি তা সৃষ্টি করেছে কাফের ও বেঈমানরাই। মুসলমানরা কাউকে আগে আক্রমন করে না, কিন্তু আঘাত আসলে কাউকে ছাড়ে না। তিনি বলেন, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই মুসলমানদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার শ্লোগান, আর বগলে ইট এধরণের বেঈমানী সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, ভারত বর্ষ হিন্দুদের দেশ নয়, এটা মুসলমানদের দেশ। মুসলমানরা সাতশত বছর পযন্তÍ ভারতবর্ষ শাসন করেছে। কিন্তু কোন হিন্দুকে আঘাত করেনি। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ, তাই এদেশেও হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বরীরা অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে তাদের ধর্মীয় কর্মকান্ড করে থাকে। ভরাতে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে দ্বিতীয় এবং ২৯% শতাংশ। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ভারতে নির্যাতিত মজলুম মুসলমানের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান। আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ঘোষিত ৩০ জুলাই ভারতীয় দুতাবাস অভিমুখে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল ও স্বারকলিপি পেশ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে আয়োজিত সহযোগি সংগঠনসমূহের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, হাফেজ মাও. ছিদ্দিকুর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অধ্যাপক শেখ নাসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম কবির, সৈয়দ ওমর ফারুক, এডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাও. এবিএম জাকারিয়া, মাও. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। সহযোগি সংগঠনের মধ্যে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, ইসলামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, তথাকথিত ভারতে হিন্দু উগ্রবাদী সন্ত্রাসী কর্তৃক ইতিহাসের জঘন্য হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন চালিয়ে ধর্মনিরেপেক্ষতার মুখোশ বিশ্ববাসীর সামনে উম্মোচন করেছে। এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ বিশ্বমানবতাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। জািতসংঘ ও ওআইসি রহস্যজনকভাবে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। Comments SHARES জাতীয় বিষয়: