কাবা শরীফে মা-কালি পাহারা দেয়: হিন্দু শিক্ষিকা

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৯

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ৭৬ নং রাজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা কাঞ্চন মালা কাবা শরীফ নিয়ে কটুক্তি করায় এলাকাবাসী ও আভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিারাজ করছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কাবা শরীফ নিয়ে কটুক্তির বিষয়ে কথা বলছে এবং তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের ইসলাম ধর্ম পরিক্ষায় সময় কাঞ্চন মালা ম্যাডাম আমাদের বলেন আমি এবার হজে যাব। এসময় এক ছাত্রী দাঁড়িয়ে বলে ম্যাডাম মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোকেরা তো হজে যায় না।

তিনি বলেন, আমি জানি কেন যায় না। কারণ কাবা শরীফ মা-কালি পাহারা দেয় সেখানে গিয়ে তুলসি পাতা ছোঁয়ালে কালি ছুটে যাবে তাই মুসলমানরা অন্য ধর্মের লোকদের সেখানে যেতে দেয় না।

উপজেলার রাজদিয়া দারুসসালাম মাদরাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, কাবা শরীফ নিয়ে কটুক্তি করার খবর এলাকাবাসী আমাকে জানালে আমি এলাকাবাসীসহ শিক্ষিকাকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন এবং পরে স্বীকার করে বলেন এই ছোট বিষয়টা নিয়ে আপনারা এতো বারাচ্ছেন কেন।

রাজদিয়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষিকা কাঞ্চন মালা বলেন, বাচ্চারা আমার কাছে জানতে চায় আপনি কি হজে জাবেন? আমি বলি আমরা তো হিন্দু তাই আমাদের হজ নেই। তবে ছোট বেলায় পূর্ব পুরুষদের মুখে শুনেছিলাম কাবাঘরে কি যেন থাকে সেখানে নাকি তুলসি পাতা ছোঁয়ালে সেটা মুক্তি পাবে।

এ কথা ছাড়া আমি অন্য কিছু বলিনি বাচ্চারা কেন এমন অভিযোগ করছে তা আমি জানি না। আমি বিদ্যালয়ে এসে এমন কথা শুনতে পেয়ে খুবই মর্মাহত।

রাজদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধার শিক্ষিকা শাহানাজ বেগমের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমার উর্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না। এবং তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে মুঠোফোনে ধরিয়ে দেয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং এটিওকে পাঠাচ্ছি ঘটনা সত্য হলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

Comments