ভৈরব পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ, ভোগান্তিতে পৌর বাসিন্দারা

প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৯

ভৈরব প্রতিনিধি: কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে স্থবির হয়ে পড়েছে ভৈরব পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের সকল কার্যক্রম। সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসিন্দারা।

আজ বৃহস্পতিবার ভৈরব পৌর মাতৃসদনে টিকাদানের কার্যক্রম পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু ইপিআই এর লোকজন না থাকায় অর্ধশতাধিক মহিলারা তাদের শিশু সন্তানদের টিকা না দিয়ে মাতৃসদন থেকে ফিরে গেছে। কবে নাগাদ আজকের এ টিকা দেওয়া হবে তাও কেউ জানেনা।

বুধবার ছিল ভৈরবের নির্ধারিত হাটের দিন। হাটের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা হয়নি। স্যানিটারী বিভাগের লোকজন নেই। অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নকারী ব্যবসায়ীগণ। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করতে পেরে অনেকেই ইনকাম ট্যাক্স, ব্যাংকের সিসি লোন রেনু করতে পারছে না।

তাছাড়া নাগরিক সনদ ও জন্মনিবন্ধনের জন্য অনেকেই পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ফিরে আসছেন। এসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও পৌরসভার সকল বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। টানা ৫ দিনের আন্দোলনের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।

সড়কের ল্যাম্পপোষ্টের অনেক বাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। জ্বলছে না ল্যাম্পপোষ্টের বাতি। এতে করে অন্ধকারে আছে এলাকাবাসী। দৈনন্দিন দিনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পৌরসভায় এসে সেবাগ্রহীতারা ফিরে যাচ্ছেন।

জানা যায়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে গত রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করে আসছে সারাদেশের ৩২৮টি পৌরসভার সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভৈরব পৌরসভার সব দপ্তরে তালা ঝুলছে। পৌর দপ্তরগুলো জনশূন্য হয়ে আছে।

এদিকে জন্ম নিবন্ধন করতে আসা মীর ইউসুফ নাফি জানান, গত ৩ দিন ধরে পৌরসভায় আসছি। কিন্তু পৌর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমি জন্ম নিবন্ধন করতে পারছি না। একই কথা বলেন, নাগরিক সনদপত্র নিতে আসা হৃদয় আহমেদও।

পৌর এলাকার মাসুম মিয়া, মো. সেলিম মিয়া ও মো. নবী হোসেন বলেন, জরুরী ভিত্তিতে জমি খারিজ করা প্রয়োজন। সে জন্য পৌরসভা থেকে ওয়ারিশান সনদপত্র দরকার। কিন্তু ৫ দিন ধরে পৌরসভায় আসলেও পৌর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওয়ারিশান সনদপত্র গ্রহণ করতে পারছি না। যার কারণে জমিও খারিজ হচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ জেলা পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ভৈরব পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে গত রোববার থেকে বর্তমানে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করছি। তিনি আরও জানান, যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হবে না, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে।

Comments