খুলনায় শতভাগ মাদকমুক্ত করার ঘোষণা বিভাগীয় কমিশনারের

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ মাদকের ন্যয় নিকৃষ্ট বস্তুর প্রসার সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। মাদকের অপব্যবহার কেবল যুবকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। নারী, পুরুষ ও বয়স নির্বিশেষে অনেকেই মাদকের করাল গ্রাসে পতিত হচ্ছে। সন্তান মাদকাসক্ত হলে পরিবারের অর্থ-সম্পদ, সম্মান সব ধ্বংস হয়। এজন্য নিজের ও প্রতিবেশীর সন্তানদের সবসময় নিবিড় পর্যাবেক্ষণে রাখতে হবে। মাদকাসক্ত সন্তান নেশার টাকা না পেলে মা-বাবাকেও আক্রমণ করে শারীরিক নির্যাতন করতে দ্বিধা করে না।

খুলনায় বুধবার ( ২৬ জুন )নানা আয়োজনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকুরীতে নিয়োগের পূর্বে চাকুরীপ্রার্থী মাদকাসক্ত কিনা তা জানতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বর্তমানে কর্মরত সরকারি চাকুরীজীবীদেরও আগামীতে এ পরীক্ষার আওতায় আনা যেতে পারে। সমাজ ও পরিবারকে মাদকমুক্ত রাখতে অভিভাবকদের সচেতন করা জরুরি। মনে রাখতে হবে সন্তান বড় হলে দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। খুলনা বিভাগের চারটি জেলা নড়াইল, মগুরা, বাগেরহাট ও খুলনাকে শতভাগ মাদকমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের ন্যয় অভিশাপ্ত বস্তুর সাথে যুক্ত না হতে সবাইকে পরামর্শ দেন প্রধান অতিথি।

খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্বাস্থ্যেই সুবিচার, মাদক মুক্তির অঙ্গীকার’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম আব্দুর রাজ্জাক, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির এবং মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত জানান খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান।

অনুষ্ঠান শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন

Comments