সেই জিকে শামীম ১০ দিনের রিমান্ডে নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেফতার প্রভাবশালী ঠিকাদার জিকে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীর প্রত্যেককে অস্ত্র মামলায় চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। রিমান্ডপ্রাপ্ত জিকে শামীমের দেহরক্ষীরা হলেন দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। এর আগে সন্ধ্যায় গুলশান থানা থেকে সাত দেহরক্ষীসহ জিকে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়। অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় সাতদিন করে শামীমকে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে অস্ত্র ও মাদক মামলায় জিকে শামীমের ৫ দিন করে মোট দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর অস্ত্র মামলায় শামীমের দেহরক্ষী সাতজনের প্রত্যেককে চারদিন করে রিমান্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকালে সাত দেহরক্ষীসহ জিকে শামীমকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিকাল ৩টার দিকে তাদের থানায় হস্তান্তর করে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ জিকে শামীমকে আটক করে র্যাব। এর আগে একই দিন ভোর ৬টায় সিটি কর্পোরেশনের লোক বলে জিকে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে সাদা পোশাকে প্রবেশ করেন র্যাব সদস্যরা। এসময় শামীমের ৭ দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার নিকেতনের নিজ কার্যালয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ আটক হন জিকে শামীম। এ সময় র্যাবের অভিযানে তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা ও এফডিআর উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে বিকালেই প্রেস ব্রিফিং করে র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, অভিযানে শামীমের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নগদ ১ কোটি ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এ ছাড়াও ৭টি শটগান, বিদেশি মুদ্রা ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন। অস্ত্রের বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেসব ভঙ্গ করেছেন তিনি। Comments SHARES জাতীয় বিষয়: