৯৯৯ এ কল করে ইজ্জত বাঁচলো কলেজ ছাত্রীর, অভিযুক্ত আটক নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯ জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়ে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো এক কলেজ ছাত্রী। পরে কলেজ ছাত্রীর অভিযোগে অভিযুক্ত বখাটে হৃদয় মিয়াকে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামে এমনি এক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া বখাটে হৃদয় মিয়া একই গ্রামের কাজল মিয়া ছেলে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ ও ছাত্রীর স্বজনেরা জানান, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ওই কলেজ ছাত্রী। পিতৃ-মাতৃহীন মেয়েটি বড় ভাইয়ের সংসারে থেকে পড়াশুনা করছে। পরিবারের উপার্জনকারী তার একমাত্র ভাই। ফলে অভাব তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এমন অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বখাটে যুবক হৃদয় মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে মেয়েটিকে উত্যক্ত করে আসছে। একই সাথে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে গতিরোধ করে বিরক্ত করতো। এসব বিষয়ে বখাটের পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় নি। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে বছর-দেড়েক আগে থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবের লিখিত অভিযোগ করে মেয়েটি। পরে কিছু দিন নিরব থাকলেও আবার তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে হৃদয়। কলেজ ছাত্রীর দাবি, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বসত ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয় বখাটে যুবক হৃদয়। বিষয়টি টের পেয়ে তার আর্তচিৎকারে আশ-পাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হৃদয় পালিয়ে যায়। পরে লিমার বড় ভাই ঘটনা শুনে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চায়। পরে ভৈরব থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বখাটে যুবককে আটক করতে সক্ষম হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ৯৯৯ হলো পুলিশের জরুরী সেবা দেয়ার একটি ডিজিটাল মাধ্যম। ভুক্তভোগী ৯৯৯ এ কল দেয়ার কারণে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশনা পেয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে হৃদয় মিয়াকে আটক করা হয়। পরে কলেজ ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে হৃদয় মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: