প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: পরিকল্পনা মন্ত্রী

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং প্রত্যক্ষ সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে উন্নত দেশের কাতারে যেতে পারবে। জাতীয়তাবাদ একটা দেশের মূল বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। যতই উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হউক না কেন, ভূমি অপচয় রোধ করতে হবে অর্থাৎ ভূমির সঠিক ব্যবহার করতে হবে।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০.৩০টায় বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে ‘এক দশকের উন্নয়ন : পরিপ্রেক্ষিত গ্রামীণ জনপদ’ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এম এ মান্নান এই কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “ঔপনিবেশিক আমল থেকেই দুর্নীতি রয়েছে। বিশ্বের সকল দেশেই দুর্নীতি রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতির বিষয়ে সকল ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। আর এটা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে সুখী-সমৃদ্ধশালী জীবনের লক্ষ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য নতুন নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি হওয়ায় এবং শহর আকর্ষণীয় বলে গ্রামের মানুষেরা বেশি শহরমুখী হয়ে থাকে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর এক্ষেত্রে গ্রামে নতুন নতুন কর্মস্থানের যোগান হবে অগ্রগামী পদক্ষেপ।”


তিনি আরো বলেন, “আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত রয়েছে। সংস্কৃতিতে পিছিয়ে রয়েছে যে সব দেশ, সেসব দেশে দক্ষ মানুষের যোগান কম দিতে হবে। কারণ আর্থিকভাবে লাভবান হলেও সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের দেশ পিছিয়ে পড়বে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স থাকলেও কিংবাস্বল্প মাত্রায় দুর্নীতি হলেও এবং দেশের বাইরে যাতে অর্থ পাচার না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশের অর্থ দেশের উন্নয়নে কাজে ব্যয় করতে হবে। ”

বিশেষ অতিথি হিসেবে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক ডাকসু ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) মূলবান বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়াও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহাবুব আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কলামিস্টগণ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় প্রগতিশীল কলামিস্ট এবং তরুণ।

/আইকে

Comments