রাস্তা-ঘাটে অপমানকর মন্তব্যের শিকার ৮৮% নারী

প্রকাশিত: ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৯

একুশে ডেস্ক: পথেঘাটে চলাচলে বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের থেকে অপমানজনক কথার শিকার হন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

বুধবার ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে ‘শব্দে জব্দ নারী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ‘সেইফ সিটিজ ফর উইমেন’ শীর্ষক এই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা কাশফিয়া ফিরোজ।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাটির গবেষণা অনুযায়ী, দেশের শতকরা ৮৮ জন নারী রাস্তায় চলার পথে অপমানজনক মন্তব্যের মুখোমুখি হন।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের সাতটি বিভাগে ৮০০ জন নারী ও ৪০০ জন পুরুষের উপর এই গবেষণাটি চালানো হয়।

ফলাফলে বলা হয়েছে, ৮৬ শতাংশ নারী গাড়িচালক ও চালকের সহকারীর দ্বারা এবং শতকরা ৬৯ জন দোকানি ও বিক্রেতার মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার বলেন, `জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নারীকে শব্দজটে আটকানো হয়। গালাগালির ক্ষেত্রে অধিকাংশই নারীকেন্দ্রিক গালি।’

তিনি বলেন, `বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে নারীকে দুর্বল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও নারীদেরই ত্যাগের মূর্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ছেলেদের তুলনা করা হয় বাঘ, সিংহের সঙ্গে। আর নারীদের তুলনা করা হয় সাপ ও হরিণের সঙ্গে।’

অনুষ্ঠানে নারীর প্রতি অপমানকর শব্দের প্রয়োগ বন্ধে শিশুদের ভাষার ইতিবাচক ব্যবহারের সচেতন করা, পাঠ্যপুস্তকে নারীকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিকীকরণের মধ্যে পরিবর্তন আনা, মানসিকতায় পরিবর্তন আনা, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ভাষার ব্যবহার বিষয়ক সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি ও প্রয়োগ নিশ্চিত করা, নিয়মনীতি, আচার-আচরণ, সংস্কৃতি, পোশাকসহ সবকিছুতে পরিবর্তন এনে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

নারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাঠ্যপুস্তক, সিনেমা এবং প্রাত্যহিক জীবনে যে ধরনের অবমাননাকর শব্দের শিকার হন তার প্রদর্শনীও করা হয়।

/এফএফ

Comments