নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারে বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, ২৩ পরিবার বাড়ি ছাড়া

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০১৯

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল সদরের বাশগ্রাম ইউপির যদুনাথপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়ি ছেড়েছে ২৩ পরিবার। বাশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ রিয়াজ মোল্যার পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়

এরইমধ্যে রিয়াজ মোল্যার পক্ষের অন্তত ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়িঘর ভাঙচুরের পর নতুন করে হামলার ভয়ে রিয়াজ মোল্যার পক্ষের ২৩টি পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের রিয়াজ মোল্যা বলেন, আড়াই বছর আগে বাশগ্রাম ইউপি নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম জয়লাভের পর থেকে আমাদের পক্ষের লোকজনের ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। ২৯ মার্চ আমার বংশীয় শিহাব মোল্যা মসজিদে জুমার নামায আদায় করতে যান।

নামায শেষে বের হয়ে বারান্দায় আসলে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে শিহাব মোল্যাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে আসে।

এরপর ৭ এপ্রিল দুপুরে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের পক্ষের অন্তত ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে কিবরিয়া মোল্যা, বরকত মোল্যা, আশরাফুল মোল্যা, বকতিয়ার মোল্যা, ইদ্রিস মোল্যা, নূরোল হুদা, জাহাঙ্গীর মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, সোহাগ মোল্যা, সেলিম শেখ, মুকুল শেখ, রুহোল শেখ, খায়রুল শেখ, রিফান শেখের বাড়ির ঘর কুপিয়ে ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

ঝড়ের কারণে এখন এসব ঘরে বসবাসের কোনো অবস্থা নেই। বর্তমানে আমার বংশীয় অন্তত ২৩টি পরিবার চেয়ারম্যান পক্ষের হামলার ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, রিয়াজ মোল্যার লোকজন আমার পক্ষের লোকজনকে পথেঘাটে বিভিন্ন স্থান থেকে হামলা চালিয়ে আহত করছে। ৭ এপ্রিল আমার বড় ভাই মাদরাসার শিক্ষক রওশন আলম পলাশকে রিয়াজ মোল্যার লোকজন হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

এছাড়া ১১ এপ্রিল দুজন স্কুলছাত্রকে মারধর করেছে। মীমাংসার প্রস্তাব দিলেও তারা তা প্রত্যাখান করেছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নড়াইলের এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের পিপিএম (বার) সঙ্গে কথা বলেছি। হয়তো খুব শিগগিরই বিরোধের মীমাংসা হবে।

সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় শান্তি- শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে খুব শিগগির দুটি পক্ষকে নিয়ে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

/আরএ

Comments