‘গরীব মারার বাজেট দ্বারা দেশ ও জাতির কোন কল্যাণ হবে না’ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০১৯ ডেস্ক: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গরীব মারার বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। আজ শুক্রবার বাদ আছর পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, বিশাল অংকের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এই বাজেটে গরীভ আরো গরীব হবে এবং ধনীরা আরো ধনী হবে। তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানে মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাদানী বলেন, এছাড়া জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশ-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার বাজেট। এবারের বাজেটে পরোক্ষ করের পরিমাণ ও মাত্রা বাড়িয়ে এবং বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাঁদে বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এ বছরের বাজেটে জনগণের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা জনগণকে চরমভাবে নিস্পেষণ করার নামান্তর। জনগণের উপর করের বোঝা চাপানোর চক্রান্ত চলছে। অন্যদিকে দেশবান্ধব বাজেটের পরিবর্তে দলবান্ধপ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মাদানী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নতুনভাবে ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেটের কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে। মহাসচিব ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহকারি মহাসচিব আলহাজ¦ আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ¦ হারুন অর রশিদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, সহকারি প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। এমএম/ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: