মন্ত্রী হবেন ‘একাব্বর হোসেন’ প্রত্যাশা মির্জাপুরবাসীর

প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯

তুষার সান্যাল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোট মনোনীত নৌকা মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন।

পরপর চারবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এলকাবাসীর প্রত্যাশাও এখন বেড়ে গেছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। মির্জাপুরবাসী এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

এলাকার জনগনের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেয়িাম সদস্যসহ নীতিনির্ধারনী মহল। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নের্তৃবৃন্দসহ সচেতন মহল।

টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসন এক সময়ে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ঘাঁটি তথা দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। দেশ স্বাধীনতার ২৭ বছর এ আসন আওয়ামী লীগের হাতছাড়া ছিলো। এই আসন উদ্ধার করতে এবং দলকে সু-সংঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ মো. একাব্বর হোসেনকে মনোনয়ন দেন। সেই সময়ে বিএনপি-–জামাত সরকার গঠন করলেও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এমপি হন মো. একাব্বর হোসেন। এরপর মো. একাব্বর হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তৃতীবারের মতো সংসদ সদস্য নির্চাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মো. একাব্বর হোসেনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।

বিগত ১০ বছরে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় সারা দেশে সড়ক, মহাসড়ক ও সেতু বিভাগের সুষম উন্নয়নসহ তার নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরকে যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঢেলে সাজিয়েছেন।

তৈরি করেছেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন ব্রীজ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, বহুতল ভবনে পরিণত করেছেন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে আরও নানা জনসেবামূলক কর্মকান্ডের নজির।

সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেনকে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে মনোনয়ন দেয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গত ৩০ ডিসেম্বর তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মির্জাপুরে মোট ভোটার ছিলো ৩ লাখ ২২ হাজার ৬৭৩। মো. একাব্বর হোসেন (নৌকা) ভোট পান ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মো. আবুল কালাম আজাদ (ধানের শীষ) ভোট পান ৮৬ হাজার ৯৪৯ ভোট।

বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে এখন মির্জাপুর বাসীর প্রাণের দাবী ও প্রত্যাশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেনকে একটি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেবেন।

এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন এমপি বলেন, আমি রাজনীতি করি দেশ ও জনগনের উন্নয়নের জন্য। এলাকার জনগনের বিপুল ভোটের মাধ্যমে পর পর চার বার নির্বাচিত হয়েছি। বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে আমাকে নিয়ে এলাকার জনগনের প্রত্যাশার এখন অনেক বড়।

এখন এলাকাবাসী যদি আমাকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে যায় আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী মহল আমার কাজের মুল্যায়ন করে এবং আমাকে যোগ্য মনে করে যদি কোনো মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তবে অবশ্যই আমি এলাকার উন্নয়নসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশ উন্নয়নে ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।

/এসএস

Comments