মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এর ভিত্তি স্থাপন, ইঞ্জি. মোশাররফের ৩ অনুরোধ

প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৯

মিরসরাই প্রতিনিধি: গণভবন হতে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এর ভিত্তি প্রস্তর সহ ৬ টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল দশটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, সীতাকুন্ড অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে বিজিএমই গার্মেন্টস ভিলেজ ও শেখ হাসিনা স্মরণীর নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করা হয়।

এসময় ভিডিও কনফারেন্সে মিরসরাই থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন মিরসরাই আসনের সংসদ সদস্য এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লে. জে. (অব.) মাসউদ উদ্দিন চৌধুরী, সরকারহাট এনআর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্পিতা দেবী।

এসময় প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ তিনটি অনুরোধ করে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে’ স্থানীয়দের চাকরি, নতুন জমি অধিগ্রহণের সময় গ্রাম বাদ দেওয়া ও ডিসি অফিসে না নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে এসে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত বঙ্গবন্ধুর নামে এ শিল্পনগর হয়েছে। আশ্চর্য হয়েছি ২ বছরে চরাঞ্চলের চেহারা পাল্টে গেছে।

ভিডিও কনফারেন্সে মিরসরাই থেকে অংশ নেন স্থানীয় এমপি ও বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, আমি চাই ৭০০ একর জমিতে ১ হাজার মানুষের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাক। ৬৫০ একর ফসলী জমি অধিগ্রহণের সময় গ্রাম বাদ দিতে হবে। ডিসি অফিসে না নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের এখানে এসে ক্ষতিপূরণ দেয়ার অনুরোধ জানাই। বিশেষ অনুরোধ-মিরসরাইয়ের স্থানীয়দের চাকরি দেওয়া।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মোশাররফ ভাই আপনি মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যারা জমি দিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা যেন কাজ পায়। শিল্পের জন্য নতুন করে ফসলী জমি নেওয়া যাবে না। যা নেওয়া হয়েছে যথেষ্ট। আগে সেখানে শিল্প কারখানায় ভরে যাক।

যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ সঙ্গে সঙ্গে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তাদের জমির তিনগুন দাম দেয়া হচ্ছে। আর তারা টাকা তো পাবেই তাদের বিকল্প জায়গার ব্যবস্থাও করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি তাদের ছেলে-মেয়েকে ওইসব ইকোনমিক জোনের কোম্পানি-কারখানায় চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার দেয়ার অনুরোধ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক, ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ-এর সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইয়াছমিন আক্তার কাকলী, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন (ভিপি) প্রমুখ।

/আরএ

Comments