বিলাসবহুল পাজেরো জিপে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলো স্বর্ণের বড় চালান

প্রকাশিত: ১:০৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০১৯

মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে ৬শ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় স্বর্ণ কারবারের সাথে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়া স্বর্ণ বহনকারীদের ব্যবহৃত বিলাসবহুল একটি পাজেরো জিপ (আউটলেন্ডার) জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৬০ কেজি ওজনের স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে স্বর্ণের বারগুলো ঢাকার বায়তুল মোকাররমে এলাকায় নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা। জানা গেছে, রবিবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে পুলিশের চেকপোস্টে বড় ধরণের এ স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে।

বিলাসবহুল পাজেরো জিপ (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-২১৪৪) গাড়িটির ভেতরের সিট পকেটের নিচে বিশেষ কায়দায় স্বর্ণের বারগুলো রাখা ছিলো।

স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে ধরা পড়া এ স্বর্ণ চালানের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে রাকিব (৩৪) ও একই জেলা ও পৌরসভার মোবারকপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে করিম খান কালু (৩৪) কে আটক করা হয়েছে।

এছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি মোবাইল ফোন সেট। এদিকে ওইদিন বিকাল পৌনে ৫টায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা জোরারগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনার আদ্যোপান্ত জানান স্থানীয় সাংবাদিকদের।

এসময় তিনি জানান, ‘স্বর্ণ চালানটি সম্পর্কে পুলিশের কাছে ইনফরমেশন ছিল। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার নাগাদ জোরারগঞ্জ থানা এলাকার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে পুলিশের বিশেষ চেকপোষ্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশির সময় বিলাসবহুল আউটলেন্ডার একটি জিপে ৬শ পিচ স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

এসময় জিপে থাকা দুই স্বর্ণ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ও তাদের ব্যবহৃত জিপ জব্দ করা হয়েছে। স্বর্ণের চালানটি ঠিক কোথা হতে কোথা যাচ্ছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে এটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তারা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলো। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করবো’।

স্বর্ণ উদ্ধার কাজে নেতৃত্বদানকারী জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ‘নিকট অতীতে মহাসড়কে বিশেষ করে জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় এ ধরণের বড় স্বর্ণের চোরা চালান আটক সম্ভব হয়নি। আমাদের থানার এসআই মাহফুজ ও তার সঙ্গে থাকা ফোর্স এ কাজে ভালো সহায়তা দিয়েছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘স্বর্ণ চালানের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্য কেউ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ধারণা করছি স্বর্ণের বারগুলো দুবাই থেকে আনা হয়েছে’।

/আরএ

Comments