কুষ্টিয়ায় ৩ দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধনি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯

তামীম আদনান: `মনের গরল যাবে যখন, সুধাময় সব দেখবি তখন’ বাউল সম্রাট লালন ফকিরের এই তৃষ্ণাত্ব বানীর শ্লোগানে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে তিন দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাত ৮টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী এ লালন স্মরণোৎসব’র উদ্বোধন করেন।

এ উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন।

বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া ১ আসনের সাংসদ আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত প্রমুখ

প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড.হারুন-অর রশিদ আসকারী। আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।

উল্লেখ্য, বাউল সম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপূর্নিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন।

১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা। এবারও সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় লালন একাডেমি এ লালন স্মরনোৎসবের আয়োজন করেছে।

ইতিমধ্যে আধ্যাত্বিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও নিজেকে চিনে সোনার মানুষ হতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত আর দর্শনার্থীরা এখন আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে, আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে জমে উঠেছে লালন মেলা।

উৎসবকে নিবির্ঘ্নে উপভোগ করতে সিসি টিভি, ওয়াচ টাওয়ারসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লালন উৎসব শেষ হবে আগামী ২২ মার্চ রাতে।

এফএফ

Comments