ভূরুঙ্গামারীতে বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০১৯

মনিরুজ্জামান মনির, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক বিরাজ
করছে। উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রাম এবং তিলাই ইউনিয়নের ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের
কয়েকজন কৃষাণ-কৃষণীর সাথে কথা বলে জানা গেছে বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে তাদের প্রায় ৩০টি ছাগল, ৪/৫টি বাছুর ও অর্ধশত হাঁস-মুরগী মারা গেছে। কুকুরের আক্রমনের শিকার আরও বেশকিছু ছাগল-ভেড়ার চিকিৎসা চলছে। বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমন থেকে রেহাই পাচ্ছেননা পথচারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান ও ফরিদুল জানান,
বেওয়ারিশ কুকুর গুলো রাত দশটার পরে রাস্তায় চলাচল করা মানুষকে প্রায়শই আক্রমন করে।

বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দারা চারটি বেওয়ারিশ কুকুরকে মেরে ফেলেছে। বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমনে গবাদি
পশু যেমন মারা যাচ্ছে তেমনি আক্রান্ত পশুর চিকিৎসার জন্য কৃষকদের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে তারা দুই দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কুকুরের
কারনে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আরও জানান, কুকুরের কারনে তারা ছাগল, ভেড়া ওবাছুরকে নির্ভয়ে মাঠে বাঁধতে পাচ্ছেন না। কুকুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করছেন তারা। জানা
গেছে কুকুরের কামড়ে গবাদি পশু যাতে জলাতঙ্কে আক্রান্ত না হয় সেজন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে পশুকে কুকুর কামড়ানোর
আগেই এক ধরণের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়। ভ্যাক্সিন প্রদানের দিন থেকে ১ বছরের মধ্যে পশুকে কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

তবে সেই ভ্যাক্সিনের সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। অপরদিকে কুকুর কামড়ানোর আগে গবাদি পশুকে ভ্যাক্সিন দেয়ার বিষয়ে সাধারন মানুষের
ধারণা যেমন নেই, তেমনি আগ্রহ কম।

উপজেলা প্ধসঢ়;্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম হাবিবুর রহমানজানান, হাই কোর্টে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধ
রয়েছে।

Comments