কোটা বৈষম্যের কারণের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হচ্ছে না; কিশোরগঞ্জ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ

প্রকাশিত: ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮

আশরাফ আলী সোহান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:  আজ রবিবার সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার উদ্যোগে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে কোটা সংস্কার ও সরকারী চাকরিতে মেধাবিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সরকারী গুরুদয়াল কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, ওয়ালিনেওয়াজ খান কলেজ সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শত শত প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। কোটা সংস্কার ও সরকারী চাকরিতে মেধাবিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিতকল্পে সারাদেশ ব্যাপি বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় জেলায় আজ একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। সরকারী চাকরীতে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বক্তাগন ৫ দফা দাবী পেশ করেন, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসতে হবে, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদ সমূহে মেধায় নিয়োগ দিতে হবে, কোটার কোন ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়, সরকারী চাকুরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা চাই, চাকুরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক বার ব্যবহার নয়।

ছাত্র নেতা মাজহারুল ইসলাম  বলেন, বর্তমান কোটা ব্যবস্থায় ১ দশমিক ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ ভাগ, ১ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধীর জন্য ১ ভাগ এবং দশমিক ১৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য ৩০ ভাগ অর্থাৎ ২.৬৩ শতাংশ নাগরিকের জন্য সংরক্ষিত আছে ৩৬ শতাংশ কোটা। এছাড়াও রয়েছে জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং নারী কোট ১০ শতাংশ। সব মিলিয়ে মোট ৫৬ শতাংশ। আর অবশিষ্ট ৪৪ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে সারা দেশের লাখ লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ চাকুরী প্রত্যাশীদের জন্য। যা দেশের বর্তমান জনসংখ্যার অনুপাত ও বাস্তব অবস্থার বিচারে অন্যায্য।

আলোচনায় আরো বলা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ (১), ২৯ (১) ও ২৯ (২) নং অনুচ্ছেদ সমূহে চাকুরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও মাননীয় প্রধানন্ত্রীর ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার “দিন বদলের সনদ” এ মেধাকে প্রাধান্য দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ বৈষম্যের কারণের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হচ্ছে না।
মানববন্ধনে অবিলম্বে তাদের দাবী পূরণের জোর দাবী জানান নতুবা আরো নতুন কর্মসূচীর ঘোষণা আসবে বলে হুঁশিয়ার করেন।

Comments