খুলনা ডায়াবেটিস হাসপাতালে দুর্ধর্ষ চুরি

প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চার নৈশ প্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ব্যাপক লুটপাট ও চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ভাঙচুরসহ এঘটনা ঘটে। এ সময় কি পরিমাণ অর্থ-সম্পদ নিয়ে গেছে তা প্রাথমিক ভাবে জানা যায়নি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা ডায়াবেটিক হাসপাতালের ভবনের দন্ত বিভাগের জানালার গ্রীল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেই কর্তব্যরত নৈশ প্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। তারপর বাইরে অবস্থানরত দুস্কৃতিকারীরা একই সাথে বাইরে কর্তব্যরত অপর দু’জন নৈশ প্রহরীকে আটকে তাদেরকেও দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। পরে দন্ত বিভাগের সকল জিনিসপত্র তছনছ করে ফেলে। তারপর ভবনের ফার্মেসী বিভাগের কক্ষের তালা ভেঙে ফার্মেসি কক্ষে প্রবেশ এবং ফার্মেসী বিভাগের কক্ষের ক্যাশ বাক্স ও ফ্রিজের তালা ভেঙে সবকিছু তছনছ করে।

এরপর তারা ডা. এম বি জামান ও ডা. শামীমা জাহান সাথীর কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানেও একই ভাবে সবকিছু তছনছ করে। এবার তারা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে সেখানে হিসাব রক্ষকের কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে যায়। কক্ষে রক্ষিত সকল আলমারীর তালা ভেঙে তছনছ করে ও ডেক্সটপ কম্পিউটারটি সাথে নিয়ে যায়।

অতঃপর তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে একই ভাবে সেখানেও রক্ষিত আলমারীর তালা ভেঙে সকল ডকুমেন্ট লুটপাট করে। কক্ষে রক্ষিত ডেক্সটপ কম্পিউটারটিও নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুর্বৃত্তরা ভান্ডার কক্ষ এবং ইসিজি কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে রক্ষিত সকল কিছু লুটপাট করে।

এরপরে তৃতীয় তলা পরিচালকের কক্ষের তালা ভেঙেও সবকিছু তছনছ করে এবং প্রায় ২-৩ ঘন্টাব্যাপী এসকল দুস্কর্ম করে ও ক্যান্টিনের গার্ডসহ কর্তব্যরত তিনজন নৈশ প্রহরীকে বাঁধা অবস্থায় রেখে তাদের ভয় দেখিয়ে সদর দরজার চাবি নিয়ে দরজার তালা খুলে মালামাল নিয়ে চলে যায়। সকালে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে নৈশ প্রহরীদের বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।

সমিতির সদস্য সচিব এড. রজব আলী সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মমতাজুল হক বলেন, সকালেই ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নগরীর শেখপাড়া মেইন রোডের লোহাপট্টিতে তিন দোকানের শাটার কেটে নগদ অর্থ ও মালামাল ট্রাক ভরে লুট করেছিল দুর্বৃত্তরা। এসময়েও দু’জন নৈশ প্রহরীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখ বেঁধে ট্রাকে তুলে নিয়ে জিরোপয়েন্টে ফেলে রেখে যায়।

/আইকে

Comments