খাগড়াছড়িতে ফাল্গুনের ছোয়ায় আমের বাগানে মকুলের আমেজ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯ লোকমান হোসেন: ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক এখন ঋতু রাজ বসন্তকাল। খাগড়াছড়িতে ফাগুনের সৌন্দর্য় বলে পরিচিত বসন্তকাল। ফাল্গুনের ছোয়ায় সেজেছে আমের বাগানে ফুলের মেলা। একালে প্রকৃতি’র কিছু সময় গরম আর কিছু সময় ঠান্ডা হাওয়া বইছে, পাখিরা মনের আনন্দে ডানা মেলছে আর মনের সুখে গান গাইছে। কারণ এটা যে বসন্ত রাজ ঋতু এসেছে প্রকৃতি নিজ রুপে সারা দিতে ফুটেছে ফুল। খাগড়াছড়ি’র পাহাড়ে পাহাড়ি বনলতায়, বিভিন্ন ফুলের সুগন্দ, মাঝ্যে মধ্যে কুকিলের ডাক। আম বাগানে আমের মুকুল ছড়িয়েছে আমেজ মৌ’মাছির গুণগুণ গান প্রমাণ করে, ফিরে এসেছে শীতে জড়তা কাটিয়ে ঋতুর রাজা বসন্তকাল। তাই গাছে গাছে আমের মুকুল মেলেছে ডানা, ফুলের সমারোহে প্রকৃতি রুপ রূপকার। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা’র এক নং নুনছড়ি ইউনিয়ন, চার নং মাইসছড়ি ইউনিয়ন, পাচ নং ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন, দুই নং কমলছড়ি ইউনিয়নের আমের বাগান বা আম গাছগুলোতে, আমের মকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের বার্তা। প্রায় ৮০% শতাংশ আমের বাগানে, আম গাছে মকুল দেখা যাচ্ছে। মকুলে মকুলে ভরে গেছে আমের বাগানগুলো। পাহাড়ে কয়েক প্রকার আমের চাষ হয়, যেমন এক দেশী আম, দুই আমরুপালী, তিন ফজলী আম, চার রাংগুয়াই-বাংলা র্থ্রী আম, পাচ রত্না আম এ ৫ প্রকার আমের চাষ হয়। দেশী আমের চাহিদা শৃধু আমের আচার বানানোর জন্য সব চেয়ে বেশী কারন, এ আমে পোকা দেখা যায়। আমরুপালী পার্বত্য এলাকায় এ আমের চাহিদা সব চেয়ে বেশী কারণ, এ আমে পোকা কম হয় আর খেতেও সুস্বাদু। লোক’মুখে শুনা এ আমের আগমন সমতল থেকে। ফজলী আম, এ আমও সমতলের রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে, তবে এ আম আকারে অনেক বড় এবং ফল একটু দেরিতে আসে। এ আম আকারে একটু বড়, এর চাহিদাও নিহাত কম নয়। রাংগুয়াই বা বাংলা র্থ্রী আম, এটাও দেখতে প্রায় ফজলী আমের মত এ আম খেতে খুব মিষ্টি তবে একটু বাস পাওয়া যায়। এর বীজ ভারত বা বার্মা থেকে আনা হয়েছে বলে জানাগেছে। রত্না আম আকারে অন্য সব আমের চেয়ে ছোট কিন্ত খেতে মিষ্টি। এর আগমন র্বামা তাই একে অন্যেকেই র্বমি আম বলেই চেনে। থোংরী র্মামা এবং সুশিল কান্তি চাকমা বলেন, আমি ২০০৪ ইং সালে আম বাগান করেছি, সেই থেকে এখন পর্যন্ত আম চাষ করছি। আমার বাগানে ২০০ টি আম গাছ আছে। প্রতি বছর আম বিক্রী করে আমি ভালো লাভ পাই, আমের ফলনও ভালো হয়। গত দুই বছর অতি বৃষ্ঠির কারণে আমের ভালো ফল পাইনি। তবে এ বছর আমার বাগানের আমের মকৃল ভালো দেখা যাচ্ছে। আমি আশাবাদি আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আমের ফল ভালো হবে এবং ভালো লাভ হবে। উপজেলা কৃষি অফিস যানায়, এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় আম বাগানে ও আম গাছে ৮০% শতাংশ মকুল দেখা যায়। প্রকৃতির প্রতিকুলতা না হলে আমরা এবছর ভালো আমের ফলনের প্রতি খুবই আশাবাদি। /আইকে Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: