নদী দখল মুক্ত করতে কামরাঙ্গীচরে দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত: ২:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯

ডেস্ক: কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিওটিএ।

নৌ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কামরাঙ্গীর চরের কয়লাঘাট এলাকায় ও ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, অভিযানের শুরুতে দুটি একতলা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

জানা যায়, অভিযানের প্রথম দিনে কামরাঙ্গীরচরের নবাবচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

এগুলোর মধ্যে পাঁচটি দোতলা ভবন, ২৮টি একতলা ভবন, ২২ আধাপাকা ঘর এবং ১৫৫টি টং ঘর রয়েছে বলে আরিফ উদ্দিন জানান।

ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন এলাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে জানানা বিআইডব্লিউটিএ-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন।

তিনি বলেন, এর আগে ২৯ জানুয়ারি থেকে তিন দিন অভিযান চালিয়ে ৪৪৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি বহুতল ভবনও রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন সে সময় জানিয়েছেন, ঢাকা সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত নদীর দুই তীরে ৬০৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সবই ভাঙা হবে।

এসব স্থাপনার মধ্যে ৫৬টি বহুতল ভবন। এগুলো আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। নদীর জমি উদ্ধারের পর এবার স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

আমরা সীমানা চিহ্নিত করে নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দিব। ভেতরে গাছ লাগিয়ে দেব, যেন কেউ পুনরায় দখল করতে না পারে।

/আরএ

Comments