একই ব্যাক্তি বেতন তুলছেন পৃথক দুটি সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে; এলাকায় তোলপাড়

প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৯

রেদওয়ানুল ফেরদৌস রনি, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে একই ব্যাক্তি পৃথক দুটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরর সুবাদে বেতন ভাতাদী গ্রহন করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ব্যাপক তোল পাড়ের সৃষ্ঠি হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুরের।

তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের এন্তাজ আলী ঢালীর পুত্র জামায়াত কর্মী মাওঃ হাবিবুল্লাহ (৩২) ২০১২ সাল থেকে শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকুরী করে আসছে। একই সাথে ধুরন্ধর হাবিবুল্লাহ সব কিছু গোপন করে পূনরায় ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকুরী গ্রহন করে। সেখানেও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে বহাল তবিয়াতে দিন পার করছে।

সূত্র জানায়া, ন্যাশনাল সার্ভিস থেকে তাকে উপজেলার ৬৮ নং কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকাসহ তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক গনশিক্ষা কার্যক্রমে কালিকাপুর চাঁদ আটি জামে মসজিদে কর্মরত রয়েছে সে।

সরকারী নীতিমালকে উপেক্ষা করে হাবিবুল্লাহ একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর বিষয়টি এলাকায় চ্যাঞ্চলের সৃষ্ঠি হয়। সচেতন মহল থেকে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনসহ সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী উঠেছে।

এব্যাপারে ৬৮ নং কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাবিবুল্লাহ ন্যাশনাল সার্ভিসের নিয়োগকৃত ব্যক্তি হলেও সে নিয়মিত স্কুলে আসে না। আমি জানতে পেরেছি সে ইসলামীক ফাউন্ডেশনে চাকুরীরত রয়েছে।

অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল হক বলেন, হাবিবুল্লাহ তথ্য গোপন করে পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের বেতন ভাতাদী গ্রহন করছে এটা ভিষন অপরাধ। তাকে উভয় জায়গা থেকে বাদ দেওয়া উচিৎ।

কালিকাপুর গ্রামের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান সরদার জানান, জামায়াত কর্মী হাবিবুল্লাহ প্রতারণা করে নিজ গ্রামের পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে আসছে এটা দূঃখ জনক।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের কালিগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ওলিউর রহমান বলেন, হাবিবুল্লাহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকুরী করেন শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

অপর দিকে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাবিবুল্লাহ বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সে নিজেই ন্যাশনাল সার্ভিসের চাকুরী থেকে অব্যহতি নিয়েছে।

/আরএ

Comments