যশোরে শিশু তিশাকে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত শামিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশিত: ৮:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোরে শিশু কথা আফরিন তিশাকে (৮) ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত শামিম (২৮) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে শহরের খোলাডাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম কারবালা এলাকার বারেক শেখের ছেলে। পুলিশ বলছে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে শামীম নিহত হয়েছে।

যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শহরতলীর ধর্মতলা এলাকার শিশু তিশা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজন আসামি খোলাডাঙ্গার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে অবস্থান করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাত ৩ টার দিকে পুলিশের দুটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ও বোমাবাজি শুরু করে।

এসময় পুলিশ পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে মিলের পাশের মাঠ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবককে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সকালে এলাকাবাসী নিহত যুবককে শামিম বলে শনাক্ত করে। শামিম তৃষাদের প্রতিবেশী হরষিতের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। তৃষার লাশ উদ্ধারের পর সে পালিয়ে যায়।

ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত এস আই খবির জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত শেষে শামীমের লাশ তার মা তারিবিবির কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, যশোর কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তিশা গত ৩ মার্চ বিকেলে খেলা করতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির অদূরে একটি গর্ত থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার তার পিতা তরিকুল ইসলাম অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি মামলা করেন। এদিন এলাকাবাসী তিশা হত্যাকারীদের আটক ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

তার বিদ্যালয়ের সহপাঠী ও শিক্ষকরাও এই বিক্ষোভে অংশ নেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও কঠোর শাস্তির দাবি করেছে তিশার সহপাঠীরাসহ এলাকার নারী পুরুষ।

বিআইজে/

Comments