ঝিনাইদহে সেচ পাম্প নষ্ট, বোরো ধানে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: বোরো ধান রোপনের প্রকৃত সময় পার শেষ হতে চলেছে। ঝিনাইদহে এরই মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ চারা রোপনের কাজ শেষ
হয়েছে।

কিন্তু ঝিনাইদহসহ গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অন্তভুক্ত জমির কৃষকরা পানি না পেয়ে বোরো ধান রোপন করতে পারেনি। ফলে ঝিনাইদহসহ জিকে সেচ আওতায় কয়েক লাখ হেক্টর জমির রোপা বোরো ধানের রোপনের শঙ্কা ও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এবছর এখনো বোরো ধান রোপন করতে না পেরে মহাবিপাকে পড়তে যাচ্ছে কৃষকরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো রোপনের জন্য গত ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে পানি উত্তোলনের পাম্প চালু করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজির নির্দেশ ছিল। কিন্তু নদী থেকে সেচ পাম্প পর্যন্ত পলি অপসারন, সেচ পাম্প মেরামতের ধীর গতির কারনে সঠিক সময়ে পানি দেয়া সম্ভব হয়নি। ভরা মৌসুমেও পানির অভাবে কৃষকরা জমিতে ধান রোপন করতে পারছেনা। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় ৮৩ হাজার ১ শত ৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কিন্তু জিকে সেচ আওতার ঝিনাইদহ ও সীমান্তবর্তি কয়েক লাখ কৃষকের বোরো রোপনের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার জটারখাল গ্রামের কৃষক জহির হোসেন বলেন, আমরা এখনো পানির অভাবে বোরা ধান রোপন করতে পারেনি। খুব অল্প সংখ্যক কৃষক স্যালোপানি দিয়ে ধানের চারা রোপন করেছেন। ফলে ঐ এলাকায় কয়েক হাজার কৃষক জিকে খালের পানির দিকে তাকিয়ে আছে। তবে কবে নাগাদ পানি আসবে সেটা নিয়েও চরম সংশয় প্রকাশ করছেন তারা।

এ বছর সময় মত ক্যেনেলে পানি না পেয়ে বোরো ধান রোপন করতে না পেরে মহাবিপাকে পড়তে যাচ্ছে কৃষকরা।এবিষয়ে ঝিনাইদহ পান্নি উন্নয়ন কর্মকর্তার নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। তবে জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরশাদ আলী চৌধুরি জানান, হরিনাকুন্ডে জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৭ শত ১০ হেক্টর জমিতে বোরো রোপা ধানের আবাদ করবেন কৃষকরা।

কিন্তু এবছর একটু সমস্যার কারণে আগাম পানি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সেচ পাম্প গুলো দ্রুতই চালু করা হবে। দ্রুতই ক্যানেল গুলোতে পানি চলে আসবে। আর আমাদের কৃষকরাও বোরো ধান রোপনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

/সিএইচ

Comments