যশোর হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটক ৯, জরিমানা দিয়ে মুক্তি

প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ৯ জন প্রতিনিধিকে আটকের পর জরিমানা আদায় করে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে থেকে টোঙ দোকান উচ্ছেদ, যততত্র গাড়ি পাকিং অপসারণ করাসহ দালাল বিরোধি অভিযানও চালানো হয়।

আদালতের পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন জানান, বেলা সাড়ে ১১ টায় থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে অভিযানটি পরিচালনা করেন জেনারেল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল ইসলাম ও আয়েশা সিদ্দিকা। বিশেষ করে হাসপাতালে রোগী দেখার সময় ডাক্তার ভিজিটের নামে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের উৎপাত বন্ধ করার লক্ষ্যে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

এসময় জরুরি বিভাগ, চিকিৎসকদের কক্ষ, করোনারী কেয়ার ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ২০০৯ এর ৫৪ ধারা মতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ৯ জন বিক্রয় প্রতিনিধিকে আটক করা হয়।

তারা হলেন- যশোরের বেনাপোল পৌর এলাকার এরশাদ আলীল ছেলে ওহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার কুমারখালির আলাউদ্দিন নগর গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে বিজয় হোসেন, দৌলতপুরের বসির উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন, রাজশাহী বাগমারার আনিসুর রহমানের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, বরিশালের শ্যামলালের ছেলে সুব্রত মন্ডল, চাপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মুজিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান, রাজশাহীর চারঘাট তালিবাড়িয়ার ইব্রাহিম আলীর ছেলে ইমরুল হোসেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আব্দুস সামাদের ছেলে মমিনুর রহমান ও রাজশাহী বাগমারার নজরুল ইসলাম।

তাদের কাছ থেকে মোট সাড়ে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মুক্তি দেয়া হয়। একই সময় দালাল আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়। অভিযানকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের হাসপাতালে অবৈধ অবস্থান রোধ, দালাল নির্মূল ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চালানো হয়।

এমএম/

Comments