বিল্লাল হোসেন,যশোর: যশোরে মোটর যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম সাফা (৩৭) খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যামিশনে অংশ নেয়া দুই কিলার আটক হওয়ার পর পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

কিলাররা পুলিশকে জানায়, ২ লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটিয়া কিলার হিসেবে সাফাকে খুন করে তারা।

সোমবার প্রেস বিফিংকালে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে সাফা খুন হয়েছে। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই কিলারকে সনাক্তের পর রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজন হলো, যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার আকরাম মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (১৯) ও লিটন বাবুর ছেলে রাকিব (২০)।

ওসি মনিরুজ্জামান আরো বলেন, আরও একজন কিলার পলাতক রয়েছে। তাকেও খোঁজা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তিনি আরও জানান, গত ৪ জানুয়ারি মহিদুল ইসলাম সাফা হত্যা মামলা কোতয়ালি থানা থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম ও আইটি শাখার এসআই মফিজুর রহমান প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে। এরপর রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী রানা ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শহরের গাড়ীখানা রোডের নির্বাচনী প্রচারণা অফিসের পিছনে পরিত্যাক্ত জায়গা থেকে হত্যকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ১ জানুয়ারি রাত সোয়া ৭টার দিককে যশোর শহরের মুজিব সড়কস্থ ঈদগাহ ময়দানের পূর্বপাশে মাসুদ কম্পিউটারের সামনে মোটর যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম সাফাকে (৩৭) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম ২ জানুয়ারি যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন ।

/সিএইচ

Comments