যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের মহতি উদ্যোগ

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম লিটু মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সরকারি এই হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় ও পরিছন্নকর্মী সংকটে ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিমাসে তাদের বেতনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

এই প্রথমবারের মতো রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে বেতনের টাকা তুলে দেয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবীরা যাতে করে হাসপাতালকে ঘিরে ব্যক্তিগত বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে না যায় তার জন্যই বেতন দেয়া হচ্ছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি এই হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের ১৮ পদে ১৭ জন কর্মরত রয়েছেন। আর পরিছন্নকর্মী ৩৫ পদের বিপরীতে রয়েছেন ৩২ জন। দীর্ঘ বছরেও কর্মচারীদের নতুন পদ সৃষ্টি হয়নি। ১০০ শয্যার ওয়ার্ডবয় ও আয়া দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যা এই হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম কাজল জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও অস্ত্রোপচার কক্ষসহ মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে।

প্রতি শিফটে প্রয়োজন ৩৬ জন ওয়ার্ডবয় ও আয়া। অর্থাৎ তিন শিফটে মোট প্রয়োজন ১০৮ জন কর্মচারী। কিন্তু সংকটের কারণে সম্ভাব হচ্ছে না। জোড়াতালি দিয়ে ওয়ার্ডে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নতুন ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী নিয়োগ দিয়েও সংকট নিরসন হচ্ছে না। আরো কর্মচারী প্রয়োজন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান, হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় ও পরিছন্নকর্মীর মারাত্মক সংকট বিরাজ করছে। এতে সেবা কার্যক্রমে মারাত্মক বিঘ্ন হচ্ছে। যে কারণে ১৮ জন সেচ্ছাসেবীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরো কয়েকজনকে নিয়োগ করা হবে।

তিনি আরো জানান, স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে এই প্রথমবারের মতো বেতনের টাকা তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। তাদের কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যই ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের প্রতিমাসে বেতনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আমৃত্যু তিনি তাদের বেতনের টাকা প্রদান করে যাবেন। কোন স্বেচ্ছাসেবী যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার বাইরে ব্যক্তিগত বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তাকে বাদ নিয়ে নতুন কর্মী দিয়োগ প্রদান করা হবে।

/সিএইচ

Comments