যশোরে ট্রাক ও লেগুনার সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১৫ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০১৯ বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোরে ট্রাক-লেগুনার সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে যশোর -খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার গোপালপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন লেগুনার চালক যশোর সদরের জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের সুলতান মোল্লার ছেলে শামীম হোসেন (২২), মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি গ্রামের রিশিকান্ত দাসের স্ত্রী শিউলী দাস(২৮) ও গাবুখালী গ্রামের সুবাশ বৈরাগীর ছেলে সুব্রত বৈরাগী (২৫)। আহতরা হলেন নিহত শিউলী দাসের স্বামী রিশিকান্ত দাস (৩৪), মেয়ে সাধনা দাস(৮), ছেলে তন্ময় দাস (৩), মণিরামপুরের গাবুখালী গ্রামের অমল পালের ছেলে স্বপন পাল (২৮), চাঁন্দুয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মাহমুদ (১৮), যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকার সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী সাবিহা খাতুন (৩০), দুই ছেলে স্কুলছাত্র সিয়াম হোসেন (১০), সাকিন হোসেন (২), বলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৭), তার ছেলে জুনায়েদ হোসেন (৩), রুপদিয়া গ্রামের কমলেশ বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস(২২), পূর্ণ চৌধুরীর ছেলে গনেশ চৌধুরী (২৭) জিরাট গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৮) আইয়ুব আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) ও রাজশাহীর বাঘা এলাকার দুলাল মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেন (২৬)। আহতরা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা জানিয়েছেন, বসুন্দিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি লেগুনা যশোর মণিহার সিনেমা হল স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে আসছিলো। পথিমধ্যে গোপালপুর রেল লাইন গেট এলাকার কাছে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর পরই তারা ঘটনাস্থলে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা আসেন। সম্মিলিতভাবে আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানিয়েছেন, হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষণা করে বাকিদের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর একটার দিকে মারা যান শিউলী দাস ও সুব্রত বৈরাগী। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান এই চিকিৎসক কর্মকর্তা। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে আসেন যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার। তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। নিহতদের পরিবারকে শান্তনা দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার সাংবাদিকদের জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। কিন্তু চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া লেগুনা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তাকে বলেছেন- আহতদের মধ্যে এক শিশুসহ দুই অবস্থার আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও এই মুহুর্তে তাদের অন্যত্র পাঠানো ঠিক হবে না। কারণ মাথায় প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখবেন যশোর জেলা প্রশাসন। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মতো খরচও বহন করা হবে। /আরএ Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: