ঝিনাইদহে ৩ মাসে খুনসহ ৯ লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৯

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ৩ মাসে খুন সহ ৯টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সব হত্যাকান্ডের বেশির ভাগ পারিবারিক ও পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ গ্রহবধু ও এক শিশু রয়েছে।

জানা গেছে গত ৪ জানুয়ারী ঝিনাইদহ শহরের মুরারীদহ গ্রামে শিশু বিল্লালকে হত্যা করা হয়। তার লাশ একটি গলাবাগানে পড়ে ছিল। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে।

৭ জানুয়ারী কালীগঞ্জ উপজেলার বড় ডাউটি গ্রামের শিউলি খাতুনকে হত্যা করে তার স্বামী। এ ঘটননায় তার স্বামী আনিচুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০ জানুয়ারী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মায়াধরপুর গ্রামে তারেক নামে এক যুবকে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয় বলে তার স্বজনরা আদালতে অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে ভিসেরা রিপোর্টে তার শরীরে বিষও পাওয়া যায়। ৪ ফেব্রয়ারি শৈলকুপার গাবলা গ্রামে লিপা ওরফে সাথী নামে এক গৃহবধুকে হত্যার পর লাশ কাঠাল গাছে ঝুরিয়ে রাখা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।

২৪ ফেব্রয়ারি ঝিনাইদহ শহরের সুইট হোটেলের পুকুরে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এখনো লাশের পরিচয় মেলেনি। তাকে হত্যা করা হতে পারে এমন সন্দেহ করছে পুলিশ।

২৬ ফেব্রয়ারি হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে এসে খুন হয় আসলাম মন্ডল। হত্যাকারেন্ডর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ।

২৭ ফেব্রয়ারি কালীগঞ্জ শহরে রেবা রানীকে হত্যার পর তার স্বামী আত্মহত্যা করে। ৬ মার্চ কালীগঞ্জের শহর ঘিঘাটি গ্রামে শিউলি খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে বলে শিউলির স্বজনরা অভিযোগ করেন।

১৪ মার্চ মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মাঠে লিটু নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলায়। লাশ পাওয়ার একদিন আগে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লিটুকে গ্রেফতার করে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, এখানে কোন রাজনৈতিক বা গোপন চরমপন্থি দলের হাতে কোনো হত্যাকান্ড নেই।

তিনি বলেন এ সব হত্যাকান্ডের বেশির ভাগ পারিবারিক ও পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ বিশের ভাগ মামলার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এজাহার নামীয় আসামীদের।

/আরএ

Comments