যশোরে ১০ অবৈধ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় জেলা প্রশাসনের সম্পত্তিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তাজ স্নাক্সসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মুজিব সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য পৌরসভার উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে ভাঙ্গারকাজ শুরু করা হয়। দুই ঘন্টাব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।

যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, দড়াটানায় তাজ স্নাক্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারি সম্পত্তির উপর ছিল। রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য প্রশাসনের সহায়তায় ওই অভিযান চালিয়েছি।

তবে তাজ স্নাক্সের স্বত্ত্বাধিকারী মাহমুদা হাসান গতকাল রাত ৮টার দিকে জানান, কোন ধরণের নোটিশ ছাড়াই আমার প্রতিষ্ঠানটি মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে অন্তত ৫০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আগে থেকে বললে আমার মালামাল সরিয়ে ফেলতাম।

তিনি জানান, এই সম্পত্তি আমার শ্বশুর নূর উদ্দিন ও তাদের ভাইদের নামে ছিল। সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে তারা ব্যক্তিগত নামে রেকর্ড করেছিল। কিন্তু কোন সুযোগ না দিয়েই ভেঙ্গে ফেলা হলো। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি পৌরসভার মেয়রের সাথে দেখা করে জানান, মেয়র মহাদয় আমাকে সব ক্ষতিপূরণ দেবার আশ্বাস দিয়েছেন। এতে আমি খুশি। আমার আর কোন অভিযোগ নেই।

যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান, তাজ স্নাক্সটি ছিলো সরকারি সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের অনেক আগেই সরে যেতে বলা হয়েছিল। শহরের মুজিব সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য সেটি প্রশাসনের সহায়তায় ভাঙ্গা হয়েছে। তরপরও প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাহমুদা হাসানের পুনবার্সন আমরা করে দেব। প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

আরেক ব্যবসয়িী বাদল বস্ত্রালয়ের মালিক বাদল হোসেন জানান, ভেঙ্গে ফেলা সম্পত্তি ডিসি অফিসের সাবেক নাজির আবদুল মজিদ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লিজ নিয়ে নিজের নামে এসএ রেকর্ড করেন। ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করা একটি ঘর তিনি তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেয় । পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দাবি করে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ওই সম্পত্তির এসএ রেকর্ড করা হয়েছে। এজন্য ১৯৮৮ সালে তাদের লিজ বাতিল করে জেলা প্রশাসন । তারপর থেকে আবদুল মজিদের ছেলে ও নাতিরা দখলে রেখেছিল। তাদের প্রতি মাসে ভাড়ার টাকা দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ করে ভেঙ্গে ফেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

/আইকে

Comments