২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা ও ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর প্রস্তাবনা

প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০১৯

ডেস্ক: ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ এর সভাপতিত্বে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।

আজ ২৩ জুন রবিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে এ প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।

সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করতে গিয়ে বলেন, বাজেটে চমক নেই। আমরা ভেবেছিলাম ক্রিকেট প্রেমী নতুন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল নতুন ইনিংসটি নতুনভাবে শুরু করবেন। কিন্তু না, তিনি ইনিংসটি শুরু করলেন সেই সনাতন পদ্ধতিতে। হয়তো প্রস্তাবিত এই বাজেট দিয়ে টিকে থাকা যাবে কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া যাবে না। বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী শ্লোগান দিয়েছেন “সমৃদ্ধ আগামীর পথ যাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের”।

মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটটি একটু পর্যালোচনা করলে পরিস্কার হওয়া যাবে সময় এখন কাদের। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর পর্যালোচনা দাঁড় করানোর পূর্বে কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা প্রয়োজন।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন ধনী বৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের ৪ কোটি মানুষকে এখনো দারিদ্র সীমার নিচে বাস করতে হয়। কেন ২ কোটি মানুষ এখনো চরম দরিদ্র। কেন দারিদ্র মানুষের তালিকায় বিশ্বে আমরা পঞ্চম। কেন মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরী করার পরও খাদ্যের অভাবে পিতা তার সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে। কেন বাংলাদেশের তরুণরা কর্মসংস্থান পাওয়ার জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমায়। কেন আমাদের দেশের কৃষক ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে উৎপাদিত ধানে আগুন দেয়। এসকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে প্রস্তাবিত বাজেটটি পর্যালোচনা করলে।

তিনি আরও বলেন, যে দেশের প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ, আয় বৈষম্য চরম। আর্থিক খাত চরম মাত্রায় সংকটে। ব্যাংক থেকে হয় নগদ টাকা লুট। দেওয়া হয় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। বাজেট থাকে সুবিধা ভোগীদের পক্ষে। সে দেশে ঐ ধরনের শত প্রশ্ন সংকট তৈরি করতেই পারে।

এক নজরে প্রস্তাবিত বাজেট:

মোট ব্যায় : ৫,২৩,১৯০ কোটি টাকা
মোট আয় : ৩,৮১,৯৭৮ কোটি টাকা
ঘাটতি : ১,৪১,২১২ কোটি টাকা

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যেভাবে টাকা ব্যয় হবে তার বিবরণী পেশ করছি:

একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা দরকার ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শিক্ষা খাতে মোট জিডিপির ৩.০৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ শিক্ষার সাথে প্রযুক্তি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের খরচকে যোগ করে ৩.০৪ শতাংশ বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। যদি প্রযুক্তিকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে শুধু শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দাঁড়ায় ২.০২ শতাংশ।

অথচ Dakar Declaration কনফারেন্সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনফারেন্সে শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সে হিসাবে মোট জিডিপির ৫ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ রাখার কথা ছিলো। কিন্তু তা রাখা হয়নি। যার দরুন “Time of Education” এর গবেষনা মতে বিশ্বমানের শিক্ষার তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়।

অথচ সে জায়গায় ভারতের ৫৭টি এবং পাকিস্তানের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে গবেষনা খাত উপেক্ষিত হয়েছে। “সু-স্বাস্থ” অর্থনীতি সমৃদ্ধি অর্জনের মূল নিয়ামক। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে গুরুত্ব পায়নি স্বাস্থ্য খাতটি।

মোট জিডিপির ১ শতাংশ এবং মোট বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ফলে ৬৬ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার ব্যায়ভার মিটাতে গিয়ে দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশে ৪ কোটি দরিদ্র এবং ২ কোটি চরম দারিদ্র মানুষের বসবাস সেখানে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কাজ করে এমন সব মন্ত্রনালয় মিলিয়ে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ১ শতাংশ; যা অপ্রতুল ও হাস্যকর।

২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে দারিদ্রতা কমার হার ছিল ১.৮ শতাংশ কিন্তু সেটি ২০০৮ থেকে বর্তমান সময়ে দারিদ্র কমার হার ১.২ শতাংশ। যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের জ্বলন্ত উদাহরণ।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যেভাবে টাকা আয় হবে তার বিবরণী পেশ করছি:

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি বাজেট পূরণের খাত হিসাবে দেশী ব্যাংকের বাহির থেকে ঋণ দেখানো হয়েছে ৩০,০০০ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশী ঋণ দেখানো হয়েছে ৬৩,৮৪৮ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য হুমকি
স্বরূপ।

বাংলাদেশে বর্তমান অভ্যন্তরীন ঋণের পরিমান ৯৫৫ কোটি টাকা এবং এর সাথে বৈদেশিক ঋণ যোগ করলে তার পরিমাণ দাড়ায় ১৪লক্ষ কোটি টাকা। তার মানে একজন নবজাতক কে ৮০ হাজার টাকার ঋণের বোঝা নিয়ে জন্মাতে হচ্ছে। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীন ঋণের চাপে কমে আসছে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ ফান্ড।

যেটা ২০১০ সালে ছিলো ৫৩ বিলিয়ন ডলার তা এখন ৩১ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ঋণ খেলাপি বাড়ছে, বৈদেশিক রিজার্ভ কমছে, ঋণের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে কর সংগ্রহে সরকারের চরম ব্যার্থতা লক্ষণীয় এবং কর জিডিপির অনুপাতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সর্বনিম্ন। যেটি বাংলাদেশের কর জিডিপির হিসাবে ১০ শতাংশের নিচে।

গত ৭বছরে কর জিডিপি ১ শতাংশও বৃদ্ধি করা যায়নি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারনে কর জিডিপি বাড়ানো যাচ্ছে না। আগামী ৫বছরে ১শতাংশও বাড়ানো যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা।

অন্যদিকে ভারতে তা ২০ শতাংশ এবং নেপালে ২২%। সরকারী হিসাবে আগামী অর্থবছরে এই খাতে আয় হবে ২৮ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য দেশের মতো যদি আমাদের কর জিডিপি অনুপাত ২০ শতাংশ হতো তাহলে ৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় করা যেতো। ফলে আমাদের আর ঘাটতি বাজেট ঘোষনা করা লাগতো না।

এই বাজেটের আরেকটি ব্যার্থতা হলো বাংলাদেশ ৪ কোটি মানুষকে নিয়ে মধ্যমায়ের দেশ হলেও সরকার আয়কর আদায় করতে পারে মাত্র ২১-২২ লাক্ষ মানুষ থেকে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় বিভিন্ন দেশের ২ লক্ষ বিদেশী কর্মী কাজ করে। যাদের আয়ের পরিমাণ প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা যদি তাদের থেকে ২০ শতাংশ আয় কর আদায় করা যেত তাহলে সেটি হতো প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। অথচ তাদের থেকে আয় কর হিসাবে নেওয়া হয় না একটি টাকাও। যেটি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার দৃষ্টান্ত।

প্রস্তাবিত বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি বেকার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে বেকার তরুণের সংখ্যা ৪ কোটি ৮২ লক্ষ প্রায়।

৩ কোটি বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হলেও কর্মহীন থেকে যাবে কোটি কোটি তরুণ। তরুণদের নিয়ে সু-পরিকল্পনার অভাবেই আমরা অর্জন করতে পারিনাই ডেমোগ্রাফিক ডিভেড্যান্ট: ফলে বাড়ছে আয় বৈষম্য, বিদেশী ঋণের চাপ, ভঙ্গুর হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

ঘাটতি :
 দেশি ব্যাংকের বাহির থেকে ঋণ- ৩০,০০০/- কোটি টাকা
 দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ- ৪৭,৩৬৬/- কোটি টাকা
 বিদেশি ঋণ- ৬৩,৮৪৮/- কোটি টাকা

প্রস্তাবিত বাজেটের দুর্বল দিকসমূহ :
 ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব ব্যাংক খাতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং উৎসাহ হারাবে।
 বেসরকারী বিনিয়োগ অনেক দিন ধরেই শ্লথ। এটিকে ত্বরান্বিত করতে বাজেটে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
 শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মোট জিডিপির ২.৪ শতাংশ মাত্র, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ এখনো অপ্রতুল।
 কর আদায়ের লক্ষমাত্রা উচ্চবিলাসী।
 বাজেটে ব্যাংক খাতের সংস্কার নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ এসব সংস্কার শুরু হবে, কীভাবে হবে তা উল্লেখ নেই।
 সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর বাড়ানোর প্রস্তাব প্রশংসনীয় কিন্তু ছাড় দেয়া হয়নি বয়স্ক ও নারীদের।
 বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা যথেষ্ট নয়।
 ধানের দর না পাওয়া কৃষক এই বাজেটে উপেক্ষিত।
 কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে অনৈতিক ভাবে টাকা উপার্জন জোরালো করা হলো।

 বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির পেছনে যাঁরা মূল শক্তি সেই কৃষক, শ্রমিক, নারী উদ্যোক্তরা এই বাজেটে অবহেলিত হয়েছে।
 ব্যাংকগুলো যে লুটেরা ও খেলাপিদের হাতে বন্ধী, সেই দশা তেকে সেগুলোকে মুক্ত করার কোন পদক্ষেপ নেই।

উপর্যুক্ত পর্যালোচনার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, টেকসই বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর বাজেট প্রস্তাবনা:

 সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদ, সা¤্রাজ্যবাদ ও সমাজতন্ত্র ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
 উচ্চভিলাসী বাজেটের পরিবর্তে বাস্তবমুখী বাজেট প্রণয়ন।
 অবকাঠামোগত সমস্যা দূর করতে হবে।
 ব্যাংক খাতে ঋণ খেলাপি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 বেসরকারী খাত অর্থনীতির প্রাণ, তাই বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
 বেসরকারী খাতই কর্মসংস্থানের মূল জায়গা তাই বেসরকারী খাতে তরুণদের উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে হবে।
 কর্পোরেট কর কমিয়ে বড় বড় কারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
 শুধু সিআইপি বা বড় করদাতাদেরই নয়, সব শ্রেণীর করদাতাদের কর কার্ড দিতে হবে। এতে মানুষ উৎসাহিত হবে।
 শুধু দীর্ঘ মেয়াদিই নয়, পুঁজি বাজার থেকে সল্পমেয়াদি অর্থায়ন সংগহের ব্যবস্থা করতে হবে।
 প্রবৃদ্ধিতে অসমতা দূর করতে হবে।
 বিনিয়োগ সংকট মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 সু-শাসনের ঘাটতি দূর করতে হবে।
 বৈদেশিক লেন-দেনে সচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
 নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করে জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।
 জনতুষ্টিমূলক বাজেটের পরিবর্তে কার্যকর বাজেট করতে হবে।
 দেশীয় শিল্প খাতকে সুরক্ষা প্রদান।
 বিদেশ থেকে ভোগ্য পণ্য আমদানীকে নিরুৎসাহিত করা।
 কৃষি খাতকে প্রধান্য দেয়া।
 মানব সম্পদ উন্নয়ন খাতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা।
 সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা।
 অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বার্থকে প্রধান্য দেয়া।
 জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দেয়া।
 গ্রাম ও শহরে শিক্ষার মানের তারতম্য নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমান মান উন্নয়ন ঘটাতে বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে।
 গবেষণা, আবাসন ও পরিবহন খাতের সংকট নিরসনের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
 কারিগরি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও কৃষি শিক্ষার প্রসারে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।

 মাদরাসা শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানে বাজেটে পৃথক বরাদ্দ দিতে হবে।
 প্রতি জেলায় ১টি করে আলিয়া মাদরাসা সরকারিকরণ ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে বরাদ্দ দ্বিগুণ করতে হবে।
 সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
 প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসাসমূহের পড়াশুনার মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বিশ্বমানের উন্নত প্রযুক্তি, শিক্ষক, প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সে জন্য বিদ্যালয় প্রতি বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
 দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ।
 প্রতিটি সরকারী কলেজে কম্পক্ষে ২টি করে নতুন হল বরাদ্দ দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য ১টি মেয়েদের জন্য ১টি।
 জ্বালানী খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
 প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
 উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রুপান্তরের জন্য ও স্বাস্থ সেবা আধুনিকীকরণে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।
 জনপ্রশাসনে মোট বাজেটের ১০ শতাংশের বেশি দেয়া যাবে না।

সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, পরিশেষে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা পরবর্তি আমরা মনে করি, সুখী-সমৃদ্ধশীল ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মানে নিশ্চিত করতে হবে, আইনের শাসন, জবাবদিহীতামূলক সরকার, দক্ষ প্রশাসন ও ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি এম.হাছিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান।

এমএম/

Comments