শাশুড়ি ও ননদ মিলে শিশু সন্তানের সামনে মাকে গলাটিপে হত্যা

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রত্না নামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ বসতঘরের বারান্দায় ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ।

রবিবার সন্ধ্যায় গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন টাঙ্গাব ইউনিয়নের পাঁচাহার গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও পাগলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে উপজেলার পাঁচাহার গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ময়রা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রত্নার বিয়ে হয়।

এই দম্পতির ঘরে রিদন নামে দুই বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। রফিকুল ঢাকায় চাকরি করেন। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি কুলসুম ও ননদ খাদিজা রত্নাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো।

রবিবার সন্ধ্যায় শাশুড়ি ও ননদ গৃহবধূ রত্নাকে তার সন্তানের সামনে গলাটিপে হত্যা করে। পরে মরদেহ বসতঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে দুই বছর বয়সী শিশু রিদনকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রত্নার বাবা আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে জানান, ‘তার মেয়ে, শাশুড়ি ও ননদ গলাটিপে হত্যা করেছে। আমি মেয়ের লাশ দেখেছি, তার গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।’

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এফএফ

Comments