স্বাস্থ্যসেবায় যশোরের ৪ প্রতিষ্ঠান পেলো দেশ সেরার পুরস্কার

প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: স্বাস্থ্যসেবায় অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ৪ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে যশোর। সারাদেশের মধ্যে যশোরের ৪টি প্রতিষ্ঠান হয়েছে সেরা। এই স্বীকৃতি স্বরুপ মিলেছে ‘হেল্থ মিনিস্টার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’।

গত ৭ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব সেরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন। স্বাস্থ্যসেবার এই শ্রেষ্টত্ব যশোরবাসীর জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনলো। কেননা যশোর ছাড়া আর কোন জেলায় একসঙ্গে ৪টি প্রতিষ্ঠান সেরা পুরস্কার অর্জন করতে পারেনি।

সারাদেশে ৬ ক্যাটাগড়িতে মোট ২৭ টি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার পেয়েছে। এরমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাটাগড়ির মোট ৫টির প্রথম ২টিই যশোরের। প্রথম হয়েছে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  এবং দ্বিতীয়টি কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

গাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান দেশসেরা প্রতিষ্ঠান হলো হলো ‘যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল’ ও  ‘যশোর সিভিল সার্জন অফিস’।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু মঙ্গলবার দুপু ১টার সময় তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জানান, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, রোগীদের সন্তুষ্টি ও আস্থা অর্জন, চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন, হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক দিকে বিশেষ অবদান রাখার কারণে সারাদেশের জেলা পর্যায়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ৩য় স্থানে রয়েছে। যে কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তার হাতে এই পুরস্কার স্বরুপ সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দিয়েছেন।

আগামীতে এই হাসপাতাল শতভাগ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরো আন্তরিক ভূমিকা পালন করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এখন টার্গেট হচ্ছে ৩য় থেকে ১ম স্থান অধিকার করা।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ ও ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ডিটু। এসময় ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু আরো বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে এই হাসপাতালের চালচিত্র পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। হাসপাতালের চারিপাশ চাকচিক্য করা হয়েছে।

প্রতিটি জানালায় উন্নত থাই ক্লাস লাগানো হয়েছে, চারিপাশে ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে, দেয়াল লিখন করা হয়েছে, রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সকল প্রকার দুর্ভোগ লাঘেবে আগামীতে আরো কয়েকটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক কর্মকর্তা।

এরআগে বেলা ১২টার দিকে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা.দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় সারাদেশের মধ্যে যশোর সিভিল সার্জন অফিস ২য় স্থান অর্জন করেছে।

এজন্য তিনি সকল কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কেননা সবার আন্তরিকতার কারণেই এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা থেকে পুরস্কারের অ্যাওয়ার্ড নিয়ে তিনি এদিন সকালে কর্মস্থলে আসলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, সারাদেশে মোট ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেরার তালিকায় রয়েছে। এরমধ্যে যশোরের রয়েছে দুইটি। প্রথম হয়েছে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দ্বিতীয় স্থানের তালিকায় স্থান পেয়েছে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

সিভিল সার্জন বলেন, দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় যশোরের ৪টি প্রতিষ্ঠান সেরাদের তালিকায় থাকায় তিনি গর্বিত ও খুশি। এটা অবশ্যই যশোরবাসীর জন্য একটি বড় পাওয়া।

/আরএ

Comments