প্রবাসী প্রকৌশলীদের শেকড়ে ফেরার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

একুশে ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের এ মাটিরই সন্তান আখ্যায়িত করে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনাবাসিক প্রকৌশলীরা দেশের তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি, শিল্পোৎপাদন, যোগাযোগ এবং সমুদ্র সম্পদ আহরণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তারা পলিসি লেভেল চ্যালেঞ্জ এবং ইন্সটিটিউশন লেভেল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পারেন।’ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনাবাসী (এনআরবি) প্রকৌশলীদের প্রথম কনভেনশনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নটা কেবল শহর কিংবা রাজধানীভিত্তিকই নয়, তার সরকার গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন করতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আপনারা যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, বাংলাদেশের কোনো না কোনো গ্রামেই আপনাদের বাড়িঘর, সেখানে আপনাদের শিকড় রয়ে গেছে।

শিকড়ের সন্ধান করে আপনাদের যার যার অঞ্চলের কীভাবে উন্নয়ন করতে পারেন, আপনাদের কাছে সে অনুরোধ আমি করব। আপনারা সেদিকটাতেও একটু বিশেষভাবে নজর দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রবাসী প্রকৌশলীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যে পলিসি লেভেল চ্যালেঞ্জ এবং ইন্সটিটিউশন লেভেল চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে চিহ্নিত করেছেন সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে এই দেশের যেন আমরা ভালোভাবে উন্নয়ন করতে পারি সে বিষয়গুলোও আপনারা দেখবেন।

আর আপনাদের এই ফাস্ট কনভেনশন অব এনআরবি ইঞ্জিনিয়ার্স-২০১৯ এর প্রহণযোগ্য সুপারিশসমূহ নিয়ে ভালো একটা নীতিমালা আমরা গ্রহণ করতে পারব বলেই আমি মনে করি এবং সেভাবেই এটা তৈরি করবেন।

তার সরকার ১০ বছরে দেশের অভূতর্পূব উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃত। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি এখন বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, বিদেশে যারা লেখাপড়া করতে গিয়ে থেকে যান বা বিভিন্ন ব্যবসায়িক কারণে বা কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়ে যারা প্রবাসী হয়ে যান, তারা যে অভিজ্ঞতাটা সঞ্চয় করেন তার মূল্যও কম নয়।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের চুক্তি থাকার ফলে ডাবল ট্যাক্সেশন আমরা অ্যাভয়েড করতে পারি। বিনিয়োগকারীরা চাইলেই তাদের মুনাফা এবং আসলসহ তারা চলে যেতে পারবেন। মেশিনারি আমদানিতে ট্যাক্স হলিডে পাবেন।

তার সরকার সারাদেশে যে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সেখানে সরকার প্রদত্ত সুযোগ গ্রহণ করে বিনিয়োগে বিদেশিদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

/এফএফ

Comments