যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ নেয়া ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলো আ.লীগ

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯

ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তা করার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ প্রধানকেই মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ নিয়ে তদন্ত কাজে বাধা দেয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাড়িতে অবস্থা করা এমন একজন ব্যক্তিকে নৌকার মনোনয়ন দেয়াতে তৃণমূল আওয়ামী লীগে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও ভোটের মাঠে তার পক্ষে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বদল না করলে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত বলেও মনে করেন আওয়ামীলীগের একাংশ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা থেকে গত ৯ জানুয়ারি গাইবান্ধা পুলিশ সুপারকে একটি চিঠিতে জানানো হয়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার মোফাজ্জল হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার জন্য তদন্ত কাজ করছে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির বিপক্ষে সাক্ষী না দিতে প্রকাশ্যে নিজে এবং সমর্থকদের দিয়ে বাধা প্রদান করছেন আব্দুল লতিফ প্রধান। তিনি মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত কাজ চালাতে দেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত রাজাকার মোফাজ্জল হোসেন প্রধান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন লতিফ প্রধান। সাক্ষীদের নানা ধরণের হুমকি দিয়ে তদন্ত কাজ এগিয়ে নিতে দিচ্ছেন না।

এদিকে, থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফ প্রধানকে এবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যে কেউ বিরোধিতা না করলেও ভেতরে ভেতরে তার পক্ষে কেউ কেউ কাজ করবেন না বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে কাজ করছেন লতিফ প্রধান-এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি দলীয় প্রধান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং প্রয়োজনে সেখানে প্রার্থী বদলও করা হতে পারে। কেননা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে আওয়ামী লীগে যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ নেয়া কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার প্রতিপক্ষ এবং সাবেক একজন এমপি যার শ্যালক মনোনয়ন পাননি তারা এসব নোংরামি ও
ষড়যন্ত্র করছে। আমি জন্মগতভাবেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগেও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলাম।

/আইকে

Comments