ডেস্ক: এফ আর টাওয়ারে নিহতের সংখ্যা নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে ১৯ জন নিহত হয়েছে, আবার কেউ বলছে ২৫ জন। ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সুত্রে ১৯ জনের মৃতের খবর পাওয়া গেলেও পুলিশ বলছে ২৫ জন।

শুক্রবার সকোলে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলছেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে এফআর টাওয়ারের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা গেছে। এদের মধ্যে ২৪ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখনো উদ্ধারে কাজ করছে। তারা পুলিশের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করবে। সেখানে পুলিশের ২১টি টিম কাজ করবে।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার বোরহান উদ্দিন জানান, মোট ১৯টি লাশের মধ্যে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শ্রীলংকার নাগরিক নিরস ডি কে রাজ নামে একজন ছাড়া, বাকি সবার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি জানান, গতকালের (বৃহস্পতিবার) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৫ জন, কুর্মিটোলায় ৭ জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৭ জনের লাশ আনা হয়।

পরবর্তীতে আরো দুই জনের লাশ অপর দুটি হাসপাতাল থেকে ঢামেকে আনা হয়। পরে আনা হয় আরও একজনের লাশ। ঢামেক হাসপাতাল মর্গে থাকা মোট ১০টি লাশের মধ্যে একটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিবারের অনুরোধে বাকি ৯ জনের ময়নাতদন্ত হয়নি।

বনানী থানা পুলিশ ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের পর ঢামেক হাসপাতালের ১০টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- গাজীপুরের মো. মির্জা আতিকুর রহমান (৩৫), পাবনার আমির হোসেন রাব্বী (২৯) , কুষ্টিয়ার মো. ইখতিয়ার হোসেন (৩২), রাজধানীর খিলখেতের শেখ জারিন তাসমিম বৃষ্টি (২৫), লালমনিরহাটের আনজির আবির (২৪), মিরপুরের মো. মনজুর হাসান (৫০), নারায়ণগঞ্জের মো. ফজলে রাব্বী (৩৫), আব্দুল্লাহ আল ফারুক, রুমকি আক্তার ও আহমেদ জাফর।

/আরএ

Comments